আফিফ-মিরাজের ব্যাটে যত রেকর্ড
৪৫ রানের মধ্যে যখন ছয় উইকেট নেই তখন জয়টা ছিল শুধুমাত্র অলীক কল্পনা। সে কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন এ দুই তরুণ ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেন। মুগ্ধ করেছেন ক্রিকেট অনুরাগীদের। দুজনের ব্যাটে চড়ে আফগানিস্তানকে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
দলের জয়ের দিনে অনেক রেকর্ডে নাম লিখেয়েছে আফিফ-মিরাজের জুটি। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক রেকর্ডগুলো—
১. প্রথম ছয় ব্যাটসম্যান মাত্র ৩০ রান করার পর কোনো দলই এর আগে জয় পানি। গতকাল বুধবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের মোট ৩০ রান ছিল। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই এই নজির হয়েছে। সেটা আফিফ-মিরাজের ব্যাটে সম্ভব হয়েছে।
২. সপ্তম উইকেটে কাল আফিফ ও মিরাজ মিলে গড়েন ১৭৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে রান তাড়ায় সপ্তম উইকেটে সবচেয়ে বড় জুটি এখন এটি। এর আগে ২০১৮ সালে মিরপুরে সাইফউদ্দিনের সঙ্গে ইমরুল কায়েসের ১২৭ ছিল সপ্তম উইকেটে আগের রেকর্ড জুটি। এবার তা ছাড়িয়ে গেছেন আফিফ ও মিরাজ।
৩. প্রথম ছয় উইকেট পড়ার পর লক্ষ্যে পৌঁছাতে সবচেয়ে বেশি রান তাড়ার রেকর্ডও কাল বাংলাদেশ গড়েছে। ৪৫ রানে ৬ উইকেট পড়ার পর বাংলাদেশের দরকার ছিল আরও ১৭১ রান। এই রেকর্ড রান টপকে দলকে জয় এনে দিয়েছেন মিরাজ-আফিফ। বাংলাদেশের আগে এই রেকর্ড ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০০২ সালে ছয় উইকেট হারানোর পর অসিদের বিপক্ষে ১৬৪ রান তাড়া করে জিতেছিল প্রোটিয়ারা।
৪. সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৯৩ রানের অপরাজিত ইনিংস উপহার দেন আফিফ হোসেন। এটি তাঁর ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস তো বটেই সেই সঙ্গে বাংলাদেশের হয়ে সাতে নেমে করা সবচেয়ে বড় ইনিংস। সাত নম্বরের নিচে নেমে এর আগে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ।
৫. আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে অপরাজিত ৮১ রান করে দলকে জিতিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই পজিশনে সফল রান তাড়ায় ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড হয়েছে এটি। এর আগের রেকর্ড ছিল হিথ স্ট্রিকের। ২০০১ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ৭৯ রান করে জিম্বাবুয়েকে জিতিয়েছিলেন স্ট্রিক।