আশা দেখিয়েও কেন হারল বাংলাদেশ? জানালেন শান্ত
লক্ষ্য ২১০, ওয়ানডেতে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা ইংল্যান্ডের কাছে খুব বড় কিছু নয়। তবুও এই মাঝারি রানের সংগ্রহে ইংলিশদের মনে ভয় ধরিয়েছে বাংলাদেশ। জাগিয়ে তুলেছিল জয়ের স্বপ্নও। তবে শেষম্যাচ ম্যাচটা আর জেতা হলো না। ডেভিড মালানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে হারের স্বাদ পেল স্বাগতিকরা।
ম্যাচের একটা সময় ১০৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে হারের শঙ্কা উঁকি দিচ্ছিল সফরকারী ইংল্যান্ডের। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েও কেন হারল বাংলাদেশ? ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তাই জানিয়েছেন ব্যাটার নাজমুল হাসান শান্ত।
সংবাদ সম্মেলনে শান্ত জানান, ‘আমার মনে হয়, ২৪০ ভালো স্কোর ছিল এই উইকেটে। যেটা আমরা করতে পারিনি। কিন্তু ২৪০-২৪৫ রান হতো, তাহলে হয়ত আমাদের বোলারদের জন্য আরও সহজ হতো।’ ‘আমরা যে রানটা করেছিলাম, বোলিংটা যেভাবে শুরু করেছিলাম, ওই রানটা আমরা ডিফেন্ড করার মতো অবস্থায় চলে গেছিলাম। কারণ, ১০০ রানে ৫ উইকেট... ওদের আরও অনেক রান লাগতো। আমাদের যে বোলিং আক্রমণ আর উইকেটটা যেমন ছিল, আমার মনে হয় ওখান থেকে ম্যাচটা জেতা সম্ভব ছিল। যেকোনোভাবে হয়নি।’
শান্ত আরও যোগ করেন, ‘আমাদের বোলিংয়ে ফিজ বা তাসকিন ভালো বোলিং করেছে... তিনটা স্পিনারই ভালো বোলিং করেছে। কিন্তু আমার মনে হয় ডেভিড মালান খুব ভালো বোলিং করেছে।’ ‘না আমার কাছে মনে হয়েছে যে, হ্যাঁ অবশ্যই আমরা যখন ইনিংসটা শেষ করেছি, আমরা হয়তো ২০ থেকে ৩০ রান কম করেছি। তবে যেভাবে আমরা বোলিং শুরু করি... ১০০ রানে ৫ উইকেট। আমার মনে হয় আমরা ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম। বলা যায় যে, হ্যাঁ ২০-২৫ রান কম করার পর আমরা ভালো কামব্যাক করেছিলাম। তবে শেষটা আরও ভালো হলে হয়তো আমরা ম্যাচটা জিততে পারতাম।’
ব্যাটারদের ব্যর্থতার নিয়ে শান্ত বলেন, ‘দেখুন আমাদের ব্যাটাররা অতীতে বড় স্কোর করেছে এবং ম্যাচ জিতিয়েছে। আজকে হয়নি, তবে আমরা আশা করবো, সামনে যেই খেলবে ইনিংস লম্বা করার চেষ্টা করবে। আর আমার কথা বলতে গেলে বিপিএলটা ভালো গেছে। চেষ্টা করেছি সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে। আগে থেকে ভেবে নামিনি কি করব। তবে পরিস্থিতি বুঝে খেলার চেষ্টা করেছি।’
মালানের ব্যাটিং প্রসঙ্গে শান্ত বলেন, ‘দেখুন অবশ্যই মালানের দক্ষতা আছে। পাশাপাশি সে পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটিং করেছে। কাকে বড় শট খেলবে, কাকে খেলবে না। যেমন মিরাজের ওভারে খুব একটা বড় শট খেলার সুযোগ নেয়নি। আবার তাইজুলের কিছু ওভারে বড় শট খেলেছে। দক্ষতার পাশাপাশি সে তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছে।’
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে আগামী ৩ মার্চ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। জয় দিয়ে সিরিজে সমতায় ফেরার লক্ষ্য তামিমের দলের।