আহতদের রক্ত দেওয়ার আহ্বান তামিমদের
সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দীর্ঘ হচ্ছে লাশের মিছিল। অনেকেই আবার হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। আহতদের জন্য প্রচুর রক্তের প্রয়োজন হচ্ছে। এই সংকটে সবাইকে রক্ত দিয়ে পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।
গতকাল শনিবার রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বেসরকারি একটি কনটেইনার ডিপোতে আগুনের পর ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
সীতাকুণ্ডের এই ঘটনার জন্য মন কাঁদছে ক্রিকেটারদেরও। নিজের জন্মভূমি চট্টগ্রামের এই পরিস্থিতি নিয়ে তামিম ইকবাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘চট্টগ্রামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সকলকে অনুরোধ করব চট্টগ্রাম মেডিকেলে অবস্থান করার জন্য। সীতাকুণ্ডের কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা অনেক, প্রচুর পরিমাণ রক্তের প্রয়োজন হচ্ছে। দয়া করে যে যেখানে আছেন সাধ্যের মধ্যে থাকলে এখনই ছুটে যান, আপনার এক ব্যাগ রক্ত হয়তো বাঁচিয়ে দিতে পারে একটি প্রাণ। আপনার পরিচিত রক্তযোদ্ধা বন্ধুদেরও আসার জন্য অনুরোধ করুন। মানুষ মানুষের জন্য।’
বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ তারকা মুশফিকুর রহিম ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘চট্টগ্রামের খবর শুনে খুবই মর্মাহত। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য প্রার্থনা করছি। শক্ত থাকো, সীতাকুণ্ড। আল্লাহ আমাদের সবাইকে রক্ষা করুন।’
স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি লিখেছেন, ‘জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসুন! চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের একটি কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শত শত মানুষ আহত হয়েছেন। অসংখ্য রোগীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতদের জন্য প্রচুর পরিমানে রক্তের প্রয়োজন। সকল গ্রুপের রক্ত দরকার হতে পারে, তাই আশেপাশের রক্তদাতা ও স্বেচ্ছাসেবী ভাইয়েরা সম্ভব হলে চট্টগ্রাম মেডিকেলে যান। রক্ত দিন, জীবন বাঁচান! আপনার এক ব্যাগ রক্ত হয়তো বাঁচিয়ে দিতে পারে একটি প্রাণ। সবাই সবার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন প্লিজ। আল্লাহ সবাইকে রক্ষা করুন। আমিন।’
গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের পর এ বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ঘটনাস্থল থেকে অন্তত চার কিলোমিটার এলাকা। এ ছাড়া আশপাশের বাড়িঘরের জানালার কাঁচ ভেঙে পড়ে। এদিকে,এখন পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কনটেইনারে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
আগুন নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে ঘটনাস্থলে চট্টগ্রাম মহানগরীর সব ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কাজ করছে। এ ছাড়া কুমিল্লা ও ফেনীসহ আশপাশের এলাকার ফায়ার সার্ভিসও যোগ দিয়েছে আগুন নিয়ন্ত্রণে। ঘটনাস্থলে বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট কাজ করছে বলে জানা গেছে।