ইকুয়েডরকে বিদায় করে পরের পর্বে সেনেগাল
অর্জন এসেছে সেনেগালের। তবে সেটি সাদিও মানের অনুপস্থিতিতেই। দলের সঙ্গে নেই সাদিও। তবুও বাকিরা মিলে সাদিওর কষ্টকে বৃথা যেতে দিলেন না। বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়া সেনেগাল এবার পৌঁছে গেল দ্বিতীয় পর্বে। ইকুয়েডরকে ১-২ গোলে বিদায় করে বিশ্বকাপ যাত্রা অব্যাহত রাখল সেনেগাল।
আজ মঙ্গলবার রাত ৯টায় কাতারের খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ইকুয়েডরের মুখোমুখি হয়েছিল সেনেগাল। জয় না পেলে সেনেগালের দ্বিতীয় পর্বে ওঠা হবে না। তাই এবারের আসরের প্রথম জয়ী দল ইকুয়েডরকে হারিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের টিকিয়ে রাখল তারা। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল সেনেগাল। তাই দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই সমতায় ফেরার তাড়া অনুভব করেছে ইকুয়েডর। চালিয়েছে সেনেগাল শিবিরে তাণ্ডব। ঠিক লক্ষ্যে পৌঁছাতেও পেরেছিল ইনার ভ্যালেন্সিয়ার দল। ৬৭ মিনিটে কর্নার কিক নেওয়া বলটি দখলে নেন ফেলিক্স তরেস। তিনি হেড দিয়ে বলটি কিছুটা সামনে দেন। সেখান থেকে পায়ের ছোঁয়ায় গোল করেন মইসেস ক্যাইসেডো। ইকুয়েডর সমতায় ফেরে ১-১ গোলে।
কিন্তু হাল ছেড়ে দিতে রাজি নয় সেনেগাল। কারণ আজ ড্র করা চলবে না। স্রেফ জয় চাই। দুই মিনিট আগে ইকুয়েডরের হয়ে তরেস-ক্যাইসেডো যেভাবে গোল করেছেন, সেটি রপ্ত করেন কালিদোও-ইদ্রিসা। দুজনে মিলে একই কায়দায় করেন দলের দ্বিতীয় গোলটি। ১-২ গোলে লিড পায় সেনেগাল। এরপরে ম্যাচে আর ফিরতে পারেনি ইকুয়েডর। ফলে হারের সঙ্গে বিদায় নিতে হলো এবারের বিশ্বকাপ থেকে।
এদিন প্রথমার্ধের ৪১ মিনিটে এসে পেনাল্টির গোলে এগিয়ে যায় সেনেগাল। স্ট্রাইকার ইসমাইলা সর বল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ইকুয়েডরের গোলের দিকে। সে সময়ে ডি-বক্সের মধ্যেই ফাউল করে বসেন পিয়েরো হিঙ্কাপিয়ে। দেওয়া হয় পেনাল্টি।
পেনাল্টির সুযোগ মিস করেননি স্বয়ং ইসমাইলা। গোলরক্ষক হার্নান গ্যালিন্দেজকে ফাঁকি দিয়ে বলা জড়ান জালে। এর আগে প্রথমার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণে নেমেছিল সেনেগাল। তবে ইকুয়েডরের ইনার ভ্যালেন্সিয়াও বসে থাকেননি। নষ্ট করেছেন বেশ কয়েকটি গোল করার সুযোগও।
অন্যদিকে বিশ্বকাপের আগেই চোটে ছিটকে গেছিলেন দলের মূল ভরসা সাদিও মানে। তাতে দলের দুর্বলতা নিয়ে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হেরে যায় সেনেগাল। তবে কাতারের বিপক্ষে জয় পেয়ে দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। এবার ইকুয়েডরকে হারিয়ে অর্জনকে সমৃদ্ধ করল সেনেগাল।