‘ইবাদত অবিশ্বাস্য, অসাধারণ তাসকিন’
মাউন্ট মঙ্গানুইতে টেস্টের চতুর্থ দিনের প্রথম দুই সেশনে বেশ লড়াই করে নিউজিল্যান্ড। একপর্যায়ে মনেই হয়েছিল, ম্যাচের লাগাম কালই টেনে ধরতে পারে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু, সেটা হতে দেননি ইবাদত হোসেন। শেষ সেশনে তাঁর বোলিংয়ে পাল্টে গেছে দৃশ্যপট।
আজ বুধবার টেস্টের শেষ দিনেও দলের ত্রাতা হয়ে উঠলেন ইবাদত। তাঁর সঙ্গে বল হাতে দারুণ ভূমিকা রাখলেন তাসকিন আহমেদ। দুই পেসারের আগুনে বোলিংয়ে শেষ দিনের প্রথম সেশনেই ম্যাচ নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ।
লে ওভালে টেস্টের শেষ দিনে কিউইদের আট উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ের ম্যাচে বল হাতে চমক দেখিয়েছেন ইবাদত হোসেন। বল হাতে একাই নিয়েছেন ছয় উইকেট। সঙ্গে দুর্দান্ত করা তাসকিন নিয়েছেন তিনটি উইকেট।
ম্যাচ শেষে বোলারদের প্রশংসায় ভাসালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হকও। প্রত্যেক বোলারকে জয়ের কৃতিত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক।
ম্যাচ শেষে ইবাদতকে নিয়ে মুমিনুল বলেন, ‘ইবাদত অবিশ্বাস্য বোলিং করেছে। অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে। (ইবাদতকে নিয়ে) আমি বিস্মিত নই। আমি জানি, দলের অনেকেই জানে, ও যে মাপের বোলার, হয়তো বল এক জায়গায় করতে পারে না, যেদিন ভালো জায়গায় বল করবে, সেদিন ওই দল শেষ। কিন্তু ওর এটা ধারাবাহিক ছিল না। সবশেষ ২-৩ বছর ধরে আমাদের বোলিং কোচ অনেক পরিশ্রম করছে ওকে নিয়ে। এমনকি আমিও করেছি। গত ১-২ বছর ধরে টানা টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। এটার ফল কালকে আর আজকে দিয়েছে ম্যাচ জিতিয়ে।’
ইবাদতের সঙ্গে তাসকিন, শরিফুল, মিরাজদের কথাও বললেন অধিনায়ক, 'তাসকিন ছিল অসাধারণ। প্রথম ইনিংসে উইকেট পায়নি, কিন্তু রান আটকেছে। শরিফুল এখনো তরুণ, সে মাত্র ২ ম্যাচ খেলেছে। কিন্তু দলের ভেতর এত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা যে পালন করেছে, এটা অবিশ্বাস্য। সত্যি কথা, আমার কাছে মনে হয়, এই টেস্ট জেতার পেছনে সবচেয়ে বেশি হাত ছিল বোলারদের। তার পর মিরাজ। এই উইকেটে বল ঘোরে না। তারপরও সে কোনো না কোনোভাবে উইকেট বের করেছে। এই ম্যাচ জেতায় সবচেয়ে বড় অবদান বোলারদের। চার বোলার নিয়ে টেস্ট জেতাটা অবিশ্বাস্য।’
অধিনায়ক আরো বলেন, ‘আমরা ম্যাচ জিতেছি বোলারদের জন্য। বোলাররা প্রথম ইনিংসে ও দ্বিতীয় ইনিংসে নিউ জিল্যান্ডকে চাপে রেখেছে। অনেক কষ্ট করেছে ওরা, ঠিক জায়গায় বল রেখেছে ও প্রক্রিয়া ধরে রেখেছে।’