উদযাপন বিতর্কে মেসির পাশে দাঁড়ালেন ব্রাজিল স্ট্রাইকার
জয়ের পরে কে উদযাপন করে না বলেন? সে উদযাপনের অংশ হতে পেরে অনেকে গর্ববোধও করেন। তবে এবার সেই উদযাপনকে ঘিরেই চলছে তর্ক-বিতর্ক। মেক্সিকোর বিপক্ষে আর্জেন্টিনার জয়ের পর ড্রেসিংরুমে গিয়ে সবাই সেই উদযাপনে সামিল হয়েছিলেন। ক্লান্তি দূর করা এবং দলকে চাঙ্গা করতে যোগ দিয়েছিলেন লিওনেল মেসিও।
এতে বিপত্তি বেধেছে তারকা ফুটবলার মেসিকে নিয়ে। ইচ্ছাকৃত কোনো কাজ না করেও মেক্সিকান বক্সার ক্যানেলো আলভারেজের গালি এবং হুমকি শুনতে হচ্ছে তাঁকে। আলভারেজ অভিযোগ করেছেন, মেসি না কি মেক্সিকোর জার্সিকে অবমাননা করেছে। আলভারেজ অভিযোগের পর মেসির পক্ষে জবাব দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার সাবেক স্ট্রাইকার আগুয়েরো।
আগুয়েরো বলেছেন, ‘বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। মেসি কখনও এই ধরনের খেলোয়াড় নয়। সে প্রতিপক্ষ এবং তাঁদের দেশকে যথেষ্ট সম্মান করে। ড্রেসিং রুমে যে বিষয়টি ঘটেছে সেটি অনিচ্ছাকৃত।’
আগুয়েরোর কথায় মন গলেনি বক্সার আলভারেজের। উল্টো বলেছেন, ‘মেসি যেন আমার সামনে না পড়ে।’ বিতর্কের এমন পর্যায়ে মুখ খুলেছেন ব্রাজিলের হয়ে ২০১০ সালে বিশ্বকাপ খেলা ফেলিপে মেলো। ফেলিপেও আলভারেজের অভিযোগকে একটু বেশি বাড়াবাড়ি মনে করে বলেছেন, ‘আমি আলভারেজ ও তাঁর বক্সিং পছন্দ করি। এজন্য তাঁকে শ্রদ্ধা করি। তবে মেসিকে নিয়ে যেভাবে সে কথা বলেছে সেটি মোটেও কাম্য নয়। আলভারেজ ফুটবলের কিছু বোঝে না, তাই তাঁর চুপ থাকা উচিত। সে ড্রেসিং রুমের সংস্কৃতি সম্পর্কেও জানে না। মেসির উচিত আলভারেজের কথায় কান না দেওয়া।’
এদিকে গত ২৫ নভেম্বর দিবাগত রাত ১টায় মেক্সিকোকে ২-০ গোলে হারানোর পরে ড্রেসিং রুমে মেসিদের উদযাপনের একটি ভিডিও প্রকাশ করে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা। সেখানে দেখা যাচ্ছে পুরো দল গান গেয়ে নেচে আনন্দ উদযাপন করছে। এমনকি গোলরক্ষক অ্যামিলিয়ানো মার্টিনেজ টেবিলের ওপরে উঠে লাফাচ্ছেন। সে সময়ে মেসির পায়ের সামনে কিছু একটা পড়ে থাকতে দেখা যায়। তখন মেসি জিনিসটাকে একটু পাশে পা দিয়ে সরিয়ে রাখেন।
আর তারপর থেকেই আলভারেজের চটেছেন। তিনি বলছেন, ‘মেসি ইচ্ছাকৃতভাবে মেক্সিকোর জার্সিকে অবমাননা করেছেন। পায়ে মাড়িয়েছেন।’
অবশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভক্তরা বলছেন, সেখানে জার্সি অবমাননার মতো কোনো কাজই মেসি করেননি।