কানাডার বিপক্ষে বেলজিয়ামের কষ্টের জয়
সৌদি আরবের কাছে অঘটন হয়েছে আর্জেন্টিনার। চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে হারিয়ে আরেকটি অঘটন ঘটিয়েছে জাপান। বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে কানাডাও তুমুল আক্রমণে লড়াই জমিয়ে তুলেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফল পক্ষে আনতে পারেনি। কষ্ট করে কানাডার বিপক্ষে জিতল শক্তিশালী বেলজিয়াম।
বুধবার দিনের শেষ ম্যাচে কানাডাকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বেলজিয়াম। পুরো ম্যাচে আক্রমণে কানাডা তাতিয়ে তুললেও এক গোল করে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন বাতসুয়াইর।
৩৬ বছর পর বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ তৈরি করেছে কানাডা। নতুন এক প্রজন্মের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ। বলতে গেলে বেলজিয়ামের কাছে কিছুই নয় কানাডা। তবে আজকের ম্যাচে বেলজিয়ামের বিপক্ষে যেভাবে তারা লড়েছে তাতে দলটাকে নবীন ভাবা মুশকিল!
পুরো ম্যাচে বেলজিয়ামের চেয়ে আক্রমণে বরং এগিয়ে ছিল কানাডা। বেলজিয়াম শিবিরে মোট ২২বার আক্রমণ করে কানাডা। কয়েকবার ভালো সুযোগও সৃষ্টি হয়। কিন্তু গোলকিপার থিবো কোর্তোয়ার দেয়ালের সামনে ব্যর্থ হয় কানাডার চেষ্টা।
ম্যাচের শুরুতে অবশ্য বড় সুযোগ পেয়ে যায় কানাডা। ৯ মিনিটেই পেনাল্টির সুযোগ পায় তারা। কিন্তু সেটাও রুখে দেন কোর্তোয়া। ওই সময় ফাউল করে বেলজিয়ামের মিডফিল্ডার হলুদ কার্ড দেখেন। পেনাল্টি পায় কানাডা। বেশ কিছুক্ষণ সময় নিয়ে মেরেও মিস করেন কানাডার আলফোনসো ডেভিস। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন কোর্তোয়া।
এর মাধ্যমে বিশ্বকাপে পেনাল্টি রুখে দেওয়া রেকর্ড গড়েছেন কোর্তোয়া। ১৯৬৬ সালের পর কেউ আর পারেনি তার মতো।
এর পর বিরতির আগে আসে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেওয়া গোলটি। ম্যাচের ৪১ মিনিটে মাঝ মাঠ দিয়ে উড়ে ডি বক্সের সামনে বাতসুয়াইর কাছে আসে বল। প্রথম স্পর্শেই বল পাঠান কানাডার জালে। তাতে ভর করেই শেষ পর্যন্ত পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারে বেলজিয়াম। তবে কানাডা হারলেও লড়াই দিয়ে সবার নজর কেড়েছে এত বছর পর বিশ্বকাপে আসা দলটি।