কিউইদের প্রতিরোধের পর ইবাদতের আগুনে বোলিং
যতটা আশা করা হয়েছিল ততটা বড় লিড নিতে পারেনি বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার চতুর্থ দিনের শুরুতে ১৩০ রানের লিড নিয়ে থামে সফরকারীরা। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ভালোই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে নিউজিল্যান্ড। প্রতিরোধ গড়ার মূল কাজটাই করেছেন উইল ইয়ং। ৬৯ রানের ইনিংস খেলে ফিরেছেন তিনি। তাঁর ব্যাটে চড়েই দিনের তৃতীয় সেশনে বাংলাদেশের লিড টপকে গেছে টম ল্যাথামের দল। বাংলাদেশের লিড টপকানোর পরপরই কিউইদের গুরুত্বপূর্ণ তিন উইকেট তুলে নিয়েছেন ইবাদত হোসেন।
তবে, তাদের ইনিংসের শুরুতে বাংলাদেশি বোলার তাসকিন আহমেদ ও ইবাদত মিলে প্রতিরোধ ভাঙার খুব চেষ্টা করেছেন। কিউইদের দুই টপ অর্ডারকে ফিরিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের দুই পেসার। টম ল্যাথামকে(১৪) ফিরিয়েছেন তাসকিন। আর, প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান ডেভন কনওয়েকে(১৩) বিদায় করেছেন ইবাদত। এরপর ইয়ং ও টেইলরের ব্যাটে ম্যাচের লাগাম টেনে ধরে কিউইরা। তবে ইয়ংকে পুরো দিন টিকতে দেননি ইবাদত। বোল্ড করে কিউই তারকাকে ফিরিয়েছেন তিনি।
লে ওভালে আজ মঙ্গলবার চতুর্থ দিন সকালে ৪৫৮ রানে থেমেছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। নিউজিল্যান্ডের ইনিংস টপকে বাংলাদেশ লিড নিতে পেরেছে ১৩০ রানের।
মিরাজের সঙ্গে সপ্তম উইকেটে ইয়াসির ৭৫ রানের জুটি গড়েন। এর মধ্যেই বাংলাদেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এক হাজার রান ও একশ উইকেটের ডাবল স্পর্শ করেন মিরাজ। ক্যারিয়ারে ৩০টি টেস্ট খেলে এ মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি। তাঁর আগে এই রেকর্ড গড়েছিলেন সাকিব আল হাসান ও মোহাম্মদ রফিক। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের লেগেছিল ২৮ ম্যাচ আর রফিকের লেগেছিল ৩৩ ম্যাচ।
বে ওভালে ৬ উইকেটে ৪০১ রান নিয়ে দিন আজ চতুর্থ দিন শুরু করে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ের শুরুতে কয়েক দফায় জীবন পেয়েছিলেন মিরাজ। কিন্তু নতুন বলও ভালোভাবে সামলান মিরাজ-ইয়াসির। কিন্তু বেশিদূর যেতে পারলেন না। শেষ পর্যন্ত এই জুটি ভাঙেন সাউদি। তাঁর অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল মোকাবিলা করে কিপারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মিরাজ। ৮৮ বলে ৪৭ রান করে ফেরেন মিরাজ। ১৬০ বলে ভাঙে ৭৫ রানের জুটি। এরপরই একে একে ফিরতে থাকেন বাকিরা। শেষ পর্যন্ত ৪৫৮ রানে থেমে যায় বাংলাদেশ। মোট চতুর্থ দিন ২০.২ ওভারে ৫৭ রান যোগ করে বাংলাদেশ।