কোহলির সেঞ্চুরিতে প্লে-অফের আশা বাড়ল বেঙ্গালুরুর
হারলেই বিদায়, জিতলে জোরালো হবে প্লে-অফে খেলার সম্ভাবনা। এমন কঠিন সমীকরণে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। পরপর দুই ম্যাচ হেরে প্লে-অফে ওঠার দৌড়ে অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছিল তারা। তবে এবার আর ভুল করেনি বেঙ্গালুরু। শেষ চারের দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়া হায়দরাবাদকে উড়িয়ে নিজেদের সম্ভাবনা জোরাল করল বিরাট কোহলির দল।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ মে) হায়দরাবাদের রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৮৬ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করায় হায়দরাবাদ। জবাবে বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিতে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আরসিবি। ৮ উইকেটের জয়ে প্লে-অফের লড়াইয়ে ভালোভাবেই এগিয়ে থাকল বেঙ্গালুরু।
এদিন আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেন হায়দরাবাদের দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা ও রাহুল ত্রিপাটি। তবে দলীয় ২৭ রানের মাথায় ব্রেসওয়েলের বলে লোমররের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৪ বলে ১১ রান করে ফেরেন অভিষেক। তার বিদায়ের পর দ্রুতই ফিরে যান আরেক ওপেনার ত্রিপাটি। দলীয় ২৮ রানে তার বিদায়ে বড় ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা। ১২ বলে ১৫ করে সাজঘরে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
এরপর বেশ ভালোভাবে শুরুর চাপ সামাল দিয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন দুই প্রোটিয়া এইডেন মার্করাম ও হেনরিখ ক্লাসেন। এই দুজনের ৭৬ রানের জুটিতে ভর করে ভালো সংগ্রহের ভিত পায় হায়দরাবাদ।
দলীয় ১০৪ রানের সময় ভাঙে এই জুটি। ২০ বলে ১৮ করে ফেরেন অধিনায়ক মার্করাম। তবে মার্করাম ফিরলেও হ্যারি ব্রুককে নিয়ে ফের বড় জুটি গড়েন ক্লাসেন। এই দুজনের ৭৪ রানের জুটিতে ভর করে চ্যালেঞ্জিং স্কোর পেয়ে যায় হায়দরাবাদ।
মাঝে সেঞ্চুরি পূরণ করেন ক্লাসেন। দলীয় ১৭৮ রানের মাথায় ৫১ বলে ১০৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হন ক্লাসেন। শেষমেশ ৫ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৮৬ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় হায়দরাবাদ।
বেঙ্গালুরুর হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন মিচেল ব্রেসওয়েল।
১৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে অসাধারণ শুরু করেন বেঙ্গালুরুর দুই ওপেনার বিরাট কোহলি ও ফাফ ডু প্লেসি। এই দুই ব্যাটারের দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিংয়ে কোনো উইকেট না হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে ৪৯ রান তোলে আরসিবি। ৩৫ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন কোহলি। এক বল পরেই ফিফটি তুলে নেন আরেক ওপেনার ডু প্লেসি। কোনোভাবেই তাদের থামাতে পারছিল না হায়দরাবাদের বোলাররা।
শেষমেষ দলীয় ১৭২ রানে থামে এই জুটি। ৬৩ বলে ১০০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হন কোহলি। তবে আউটের আগে ডু প্লেসির সঙ্গে তার অতিমানবীয় ইনিংসে জয়ের ভিত গড়ে ফেলে আরসিবি।
কোহলির বিদায়ের পর টিকতে পারেনি আরেক ওপেনার ডু প্লেসি। ৪৭ বলে ৭১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে আউট হন ডানহাতি এই ব্যাটার। এরপর বাকি ব্যাটাদের জয় তুলে নিতে বেগ পেতে হয়নি খুব একটা।
এই জয়ে ১৩ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চারে ওঠে এসেছে আরসিবি।