ছক্কা মেরে জয় উল্লাস আফগানিস্তানের
ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। বোলিংয়ের শুরুটাও হলো নড়বড়ে। আগের ম্যাচের মতো নাসুম আহমেদকে দিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশের বোলিং। কিন্তু প্রথম ওভারেই নিজের বলে ক্যাচ মিস করেন তিনি। এরপর অবশ্য মেহেদী হাসান এসে ফেরাতে পেরেছেন রহমতউল্লাহ গুরবাজকে। তবে রানের গতি সচল রেখে ধীরে সুস্থে এগিয়ে যাচ্ছে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের কোনো বোলারই পারছেন না আফগান ব্যাটারদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১১৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন শততম টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা মুশফিকুর রহিম।
এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই জোড়া ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচের মতো এদিনও ওপেন করেছেন দুই তরুণ মুনিম শাহরিয়ার ও মোহাম্মদ নাঈম। কিন্তু জুটি বড় হয়নি। একবাউন্ডারি মেরে শুরু করার পর দ্বিতীয় ওভারেই ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেছেন মুনিম। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা মুনিম ১০ বলে করেছেন ৪ রান।
আগের ম্যাচে বাংলাদেশের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন লিটন দাস। এবার আর পারলেন না। পঞ্চম ওভারেই বিদায় নিয়েছেন ওয়ানডাউনে নামা লিটন। এক ছক্কায় ১০ বলে ১৩ করে ফেরেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
টানা ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে থাকা নাঈম এই ম্যাচেও ছিলেন নড়বড়ে। ব্যাটিং নেমেই এলবির ফাঁদে পড়েছিলেন। প্রথম যাত্রায় রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান। কিন্তু জীবন পাওয়ার পরও নিজের ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তিনি। নবম ওভারেই কাটা পড়েন রানআউটে। ১৯ বলে ১৩ রান করে সাজঘরের পথে হাঁটেন এই তরুণ ব্যাটার।
উইকেট হারানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের রানের চাকাও ছিল মন্থর। ৩৮ রানে তিন উইকেট হারানো বাংলাদেশ পাওয়ার প্লেতে তোলে মাত্র ৩৩ রান। এই চাপের মধ্যেই দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ হন সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে রানের খরায় থাকা সাকিব ফেরেন মাত্র ৯ রানে। আজমতউল্লাহ ওমরজাইর বল উড়িয়ে মারার চেষ্টায় কিপারের গ্লাভসে ধরা পড়েন সাকিব।
সাকিবের বিদায়ে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেই বিপদ থেকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ। দুজনে মিলে গড়েন ৩১ বলে ৪৩ রানের জুটি। তবে এই জুটি জমে ওঠার আগেই ভেঙে দেন রশিদ খান। মেরে খেলা মাহমুদউল্লাহকে এলবির ফাঁদে ফেলেন আফগান স্পিনার। রশিদের শিকার হয়ে ১৪ বলে ২১ রান করে সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
মাহমুদউল্লাহ ফেরার ধাক্কা না কাটাতেই ১৬তম ওভারে জোড়া ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। এক ওভারেই মুশফিক-মেহেদীর উইকেট তুলে নেন ফারুকি। প্রথমে বিদায় করেন থিতু হয়ে যাওয়া মুশফিককে। এরপর আউট করেন ক্রিজে নতুন আসা মেহেদীকে। শততম টি-টোয়েন্টিতে ২৫ বলে ৩০ রান করে আউট হন মুশফিক। দ্রুত উইকেট হারানোর দ্ধাক্কা সামলে বেশিদূর যেতে পারল না বাংলাদেশ। আফগানদের দাপুটে বোলিংয়ে আটকে গেল মাত্র ১১৫ রানে।
অবশ্য সিরিজের শুরুটা হয় স্বপ্নের মতো। ব্যাটে-বলের দাপটে আফগানিস্তানকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নাসুমের দাপুটে বোলিংয়ে ৬১ রানের জয় পেয়েছিল লাল-সবুজের দল।