দলের জয়ের দিনে দারুণ কীর্তি সাকিবের
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দারুণ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়েকে ১৫৫ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে লাল-সবুজের দল। তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের বল হাতের নৈপুণ্যে এই ম্যাচে বড় জয় পায় বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার অনুষ্ঠিত ম্যাচে সাকিব ৯.৫ ওভার বল করে ৩০ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছেন। এই পাঁচ উইকেট নিয়ে তিনি এখন ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।
২৬৯ উইকেট নিয়ে এই সিরিজ শুরু করেন সাকিব। বাংলাদেশের হয়ে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার উইকেটও ২৬৯টি। জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলরকে আউট করে সাকিবের উইকেট হয়ে যায় ২৭০টি। পেছনে পড়ে যায় মাশরাফীর উইকেট সংখ্যা।
দুইশ উইকেট আছে বাংলাদেশের আর কেবল একজনের। বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকের উইকেট ২০৭টি। ১২৯ উইকেট নিয়ে চারে আছেন রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান পাঁচে ১২৪ উইকেট নিয়ে।
জিম্বাবুয়েকে ২৭৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। এই রান তাড়ায় শুরুতেই বিপর্যয়ের কবলে পড়ে জিম্বাবুয়ে। শেষ পর্যন্ত এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে ১২১ রানে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। তাই ১৫৫ রানের বড় জয় ঘরে তোলে লাল-সবুজের দল।
ব্যাট হাতে অনেকদিন ধরে সাফল্য না পাওয়া সাকিব আল হাসান এদিন বল হাতে দারুণ উজ্জ্বল ছিলেন। পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে একাই জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং ধস নামান তিনি। একটি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন, সাইফউদ্দিন ও শফিউল।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে একমাত্র সফল চাকাভা। তিনি ৫২ বলে ৫৪ রান করেন। আন্যরা ছিলেন আসা-যাওয়ায়।
এর আগ সকালে টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারছিলেন না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। দলীয় ৭৪ রানে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। অবশ্য মাহমুদউল্লাহ ও লিটন দাসের ব্যাটিং দৃঢ়তায় পঞ্চম উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে। পরে মাহমুদউল্লাহ আউট হলেও দলকে টেনে নেন লিটন দাস।
লিটনের সেঞ্চুরিতেই বড় সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ওভারে ২৭৬ রান করে তামিম ইকবালের দল। আর লিটন ১১৪ বলে ১০২ রান করে আউট হন। তাঁর ইনিংসে আটটি চারের মার রয়েছে।
আর সপ্তম উইকট জুটিতে আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ দারুণ দুটি ইনিংস খেলে দলকে বড় সংগ্রহ গড়ে দিতে অন্যতম অবদান রাখেন। আফিফ ৪৫ রান করেন ৩৫ বলে এবং মিরাজ ২৬ রান করেন ২৫ বল।
এর আগে তামিম ইকবাল (০), সাকিব আল হাসান (১৯), মোহাম্মদ মিঠুন (১৯), মোসাদ্দেক হোসন সৈকত (৫) দ্রুত সাজঘরে ফিরে যান। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি ৫২ বলে ৩৩ রানের একটি ইনিংস খেলে আউট হন।