দিল্লিকে উড়িয়ে প্লে-অফে চেন্নাই
আইপিএলে জমে উঠেছে প্লে-অফের লড়াই। সবার আগে শেষ চার নিশ্চিত করেছে গুজরাট টাইটান্স। অপেক্ষা ছিল বাকি তিন দলের। এবার সেই তালিকায় যোগ দিল চেন্নাই সুপার কিংস। পয়েন্ট টেবিলের নিচের দিকে থাকা দিল্লি ক্যাপিটালসকে উড়িয়ে নিশ্চিত করল প্লে-অফের টিকিট। ডেভিড ওয়ার্নারের দলের বিপক্ষে চেন্নাইয়ে জয় ৭৭ রানে।
আজ শনিবার (২০ মে) দিল্লির অরুন জেটলি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে তিন উইকেটের বিনিময়ে স্কোরবোর্ডে ২২৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় চেন্নাই। জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রানে থামে দিল্লির ইনিংস। ৭৭ রানের জয় পায় ধোনির দল। ১৪ ম্যাচে ৮ জয় ও একটি ড্রয়ে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে ধোনির দল।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ডেভন কনওয়ে মিলে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ১৪১ রানের জুটি গড়েন। এই জুটিতেই বড় স্কোরের ভিত পায় সিএসকে। দলীয় ১৪১ রানের মাথায় রতুরাজ গায়কোয়াড়ের বিদায়ে প্রথম উইকেট হারায় চেন্নাই। ৫০ বলে ৭৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন গায়কোয়াড়। এরপর শিবাম দুবেকে নিয়ে ফের জুটি গড়েন কনওয়ে। এই দুইজনের ৫৪ রানের জুটিতে রানের গতি আরও বাড়ে চেন্নাইয়ের। এরপর দলীয় ১৯৫ রানে দুবের বিদায়ে দ্বিতীয় উইকেট হারায় চেন্নাই। ৯ বলে ২২ রান করে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
তার বিদায়ের পর থিতু হতে পারেননি ওপেনিংয়ে নামা আরেক ব্যাটার ডেভন কনওয়ে। দুই বল পরেই দলীয় ১৯৫ রানের মাথায় ৫২ বলে ৮৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হন কনওয়ে। এরপর শেষদিকে জাদেজা-ধোনির ব্যাটে ৩ উইকেট হারিয়ে ২২৩ রানে থামে চেন্নাইয়ের ইনিংস। দিল্লির হয়ে ১টি করে উইকেট নেন খলিল আহমেদ ও চেতন সাকারিয়া ও আনরিখ নরকিয়া।
২২৪ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যের বিপরীতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাজে শুরু করে দিল্লি। দলীয় পাঁচ রানের মাথায় হারায় ওপেনার পৃথ্বি শকে। সাত বলে ৫ রান করে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার। এরপর আরেক ওপেনার ফিল সল্টও ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। দলীয় ২৬ রানের মাথায় ফিলিপ সল্ট আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। আউটের আগে এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসে মাত্র তিন রান।
সল্টের বিদায়ের পরের বলেই গোল্ডেন ডাক মেরে ফেরেন নবাগত ব্যাটার রাইলি রুশো। দ্রুতই তিন উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। সেই চাপ সামাল দিয়ে ইয়াশ দুলকে নিয়ে জুটি গড়েন ডেভিড ওয়ার্নার। এই দুইজনের ৪৯ রানের জুটিতে চাপ কিছুটা সামাল দেয় দিল্লি। তবে, দলীয় ৭৫ রানের সময় ইয়াশ দুলের বিদায়ে বিপদ বাড়ে দিল্লির। ১৫ বলে ১৩ করে আউট হন তিনি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শেষমেশ স্কোরবোর্ডে ১৪৬ রানের বেশি গড়তে পারেনি দিল্লি।
দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ বলে ৮৬ রান করে ওয়ার্নার। চেন্নাইয়ের হয়ে দিপক চাহার সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন। এ ছাড়া দুটি করে উইকেট নেন পাথিরানা ও মহেশ।