দিল্লিকে সহজেই হারাল ধোনির চেন্নাই
আইপিএলের এবারের আসরটা মোটেও ভাল যায়নি দিল্লি ক্যাপিটালসের। আসরের শুরুর দিকে টানা হারের বৃত্তে থাকা দলটি শেষ পাঁচ ম্যাচে অনেকটা ঘুঁরে দাঁড়িয়েছে। একটি হার বাদে বাকি চার ম্যাচেই পেয়েছিল জয়ের দেখা। এবার ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে ফের হারের তিক্ত স্বাদ পেল টেবিলের তলানিতে থাকা দলটি।
গতকাল বুধবার (১০ মে) চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করে ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৬৭ রানের মাঝারি সংগ্রহ দাঁড় করায় চেন্নাই। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৪০ রানের বেশি তুলতে পারেনি দিল্লি। যার ফলে ২৭ রানের জয় পায় ধোনির চেন্নাই। এটি আসরে তাদের সপ্তম জয়।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করেন চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ও ডেভন কনওয়ে। তবে দলীয় ৩২ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান কনওয়ে। ১৩ বলে ১০ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তার বিদায়ের পর দ্রুতই ফিরে যান আরেক ওপেনার গায়কোয়াড়। তিনি ফেরেন দলীয় ৪৯ রানে। আউটের আগে এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসে ১৮ বলে ২৪ রান।
পাওয়ার প্লেতে দুই ওপেনারকে হারিয়ে কিছুটা দেখেশুনে খেলতে থাকে অজিনকা রাহানে ও মঈন আলি। তবে তাদের প্রতিরোধ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দলীয় ৬৪ রানে মঈন ও ৭৭ রানে ফিরে যান রাহানে। এরপর বেশ চাপে পড়ে চেন্নাই। পরবর্তীতে শিবাম দুবে ও আম্বাতি রাইডুরা সেই চাপ সামাল দেন। গড়ে তোলেন ৩৬ রানের জুটি। দলীয় ১১৩ রানে দুবে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও শেষমেশ ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৬৭ রানের লড়াকু পুঁজি দাঁড় করায় ধোনির দল। দিল্লির হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন মিচেল মার্শ ও ২টি উইকেট নেন অক্ষর প্যাটেল।
জবাব দিতে নেমে খুবই বাজে শুরু করে দিল্লি। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে দিপক চাহারের বলে রাহানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ডেভিড ওয়ার্নার। এবারের আইপিএলটা মোটেও ভালো যায়নি এই বাঁহাতি ব্যাটারের। শুরুর চাপ সামাল দেওয়ার আগে দলীয় ২০ ও দলীয় ২৫ রানে ফিলিপ সল্ট ও মার্শের উইকেট হারায় দিল্লি। সবমিলিয়ে ২৫ রানের মাঝে ৩ উইকেট হারিয়ে কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় রিকিং পন্টিংয়ের শিষ্যরা।
এরপর মনিশ পান্ডে-রাইলি রুশোরা সেই চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। গড়ে তোলেন ৫৯ রানের জুটি। তবে সেই জুটিকে আরও বড় করতে পারেননি তারা। দলীয় ৮৪ রানে আউট হয়ে ফেরেন পান্ডে। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৯ বলে ২৭ রান। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রাইলি রুশোও। দলীয় ৮৯ রানে ফিরে যান এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৩৭ বলে ৩৫ রান করে আউট হন তিনি। এরপর লোয়ার অর্ডার ব্যাটাররা চেষ্টা করলেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ১৪০ রানে থামে দিল্লির ইনিংস।