দুরন্ত এমবাপ্পেতে কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্স
কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে শেষ ষোলোতে মুখোমুখি হয়েছে ফ্রান্স বনাম পোল্যান্ড। কাতারের আল থুমামা স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আগ্রাসী বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। এক এমবাপ্পেতেই হাঁসফাঁস পোলিশ রক্ষণভাগ। কিলিয়ান এমবাপ্পের জোড়া গোল এবং অলিভিয়ের জিরুদের লক্ষ্যভেদে ৩-০ গোলের জয় পায় ফ্রান্স। নিশ্চিত হয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের কোয়ার্টার ফাইনাল।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণ শানায় ফ্রান্স। বাম প্রান্ত ধরে ছুটির চলা এমবাপ্পেকে থামানো দুষ্কর হয়ে পড়ে পোল্যান্ডের জন্য। তার গড়ে দেওয়া সুযোগগুলো কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন ফরোয়ার্ডরা। তবে ম্যাচের ৪৪ মিনিটে এমবাপ্পের পাস থেকে গোল করে পুষিয়ে দেন জিরুদ। এক গোলে হয়ে পড়েন ফ্রান্সের সর্বোচ্চ গোলদাতা। একই সঙ্গে এগিয় নেন দলকে।
৫৭ শতাংশ বল দখলে রেখে পোল্যান্ডের গোলমুখে ফ্রান্স শট নেয় ৯টি, যার ৫টি অন টার্গেট। পোলিশরা শট নিয়েছে ৮টি, মাত্র দু'টো অন টার্গেট। পায়নি আরাধ্য গোলের দেখা। প্রথমার্ধে সমানে সমান লড়াই করলেও বিরতিতে যাওয়ার আগের গোলটি ফ্রান্সকে বাড়তি প্রেরণা দেয়।
ফলশ্রুতিতে বিরতি থেকে ফিরে আরও গোছালো ও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে ফ্রান্স। এমবাপ্পের গতির সামনে যেন অসহায় হয়ে পড়ে প্রতিপক্ষ। ৭৩ মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে বল টেনে নেয় ফ্রান্স। উসমান দেম্বেলের পাস খুঁজে নেয় এমবাপ্পেকে। সেখান থেকে বুলেট গতির শটে বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি এই ফ্রেঞ্চম্যান। ৯০ মিনিটে আবারও গোলের দেখা পান এমবাপ্পে। যেন আগের গোলেট পুনরাবৃত্তি। শুধু বদলেছে সহায়ক। এবারের গোলের উৎস বদলি খেলোয়াড় থুরামের পা।
পুরো ম্যাচে নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন রবার্ট লেভান্দোভস্কি। যার ফল ভোগ করতে হয়েছে দলকে। ম্যাচের যোগ করা সময়ের সপ্তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন লেভান্দোভস্কি। স্বান্তনার এই নিয়ে বাড়ির পথ ধরতে হলো পোল্যান্ডের। অন্যদিকে বিশ্বকাপ ধরে রাখার মিশনে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ফ্রান্স।