‘দেশের বাইরে সিরিজ জিততে পারা গর্বের’
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের অতীত ইতিহাস তেমন সুখকর নয়। দেশের বাইরে তো আরো মলিন। সেই জাগায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেদের সবচেয়ে বড় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। হারারেতে স্বাগতিকদের ২২০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে জয়ের স্বস্তি নিয়ে অধিনায়ক মুমিনুল হক জানালেন, দেশের বাইরে সিরিজ জিততে পারা অধিনায়ক হিসেবে অনেক গর্বের।
আজ রোববার টেস্টের পঞ্চম দিনে স্বাগতিকদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৬ রানে অলআউট করে নিজেদের জয় নিশ্চিত করে মুমিনুল হকের দল। দেশের বাইরে রানের হিসেবে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। আগের বড় জয়টিও ছিল জিম্বাবুয়েতে, ১৪৩ রানে। এ জয়ে প্রথমবার জিম্বাবুয়ের মাটিতে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় টেস্ট সিরিজ জয়।এর আগে ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ।
এই ম্যাচের মাধ্যমেই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন মাহমুদউল্লাহ। বিদায়ী টেস্টে ১৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটি দিয়েই ১৬ মাস পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ। প্রায় দেড় বছর পর ফিরে খেলেন ১৫০ রানের অসাধারণ ইনিংস। এটি ছিল তাঁর ক্যারিয়ারের ৫০তম ম্যাচ। টেস্ট ম্যাচের হাফসেঞ্চুরি করেই ইতি টেনে দিলেন এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মুমিনুল বলেন, ‘জয়টা সবসময়ই বিশেষকিছু। আর দেশের বাইরে সিরিজ জিততে পারা অধিনায়ক হিসেবে আমার কাছে অনেক গর্বের।’
এরপর সতীর্থদের প্রশংসায় ভাসিয়ে অধিনায়ক বলেন, ‘যখন তরুণরা দলের জয়ের ভূমিকা রাখে তখন এটা অনেক ভালো লাগে। প্রথম সেশনে আমরা যখন ভুগছিলাম তখন মাহমুদউল্লাহ ভাই ও তাসকিন বড় ভূমিকা রেখেছে। তাসকিন অনেক দায়িত্ব নিয়ে সঙ্গ দিয়েছে। সেকেন্ড ইনিংসে তরুণরা অনেক ভূমিকা রেখেছে।’
বোলিংয়ে দারুণ করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দুই ইনিংসে ৯টি উইকেট পেয়েছেন তিনি। মিরাজের প্রশংসা করে মুমিনুল বলেন, ‘আপনারা জানেন, এটা অনেক ফ্ল্যাট উইকেট ছিল। বোলারদের জন্য এই উইকেটে উইকেট পাওয়া খুব কঠিন ছিল। সেই জাগায় মিরাজ খুব দারুণ বোলিং করেছে। দুই ইনিংসে ৯টি উইকেট পেয়েছে। এটা একজন অধিনায়ক হিসেবে আমার জন্য অনেক বিশেষকিছু। আমি এ ছাড়াও সাকিব ও তাসকিনের কথা উল্লেখ করব। তারাও দারুণ বোলিং করেছে। চারটি উইকেট পেয়েছে। এটা জয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’