পুরোনো অধ্যায় নিয়ে কথা বলতে নারাজ রোডস
২০১৯ বিশ্বকাপের পর আচমকা বরখাস্ত করা হয় ইংলিশ কোচ স্টিভ রোডসকে। বিশ্বকাপ শেষে অনেকটা নীরবেই বাংলাদেশের ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেন এ ইংলিশ কোচ। দুই বছর পর ফের বাংলাদেশে পা পড়ল তার।
তবে, এবার আর বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে কাজ করতে নয়, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে কাজ করতে ঢাকায় এসেছেন রোডস। আসন্ন বিপিএলে তিনি কুমিল্লার পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করবেন। এরই মধ্যে কুমিল্লার অনুশীলনে যোগও দিয়েছেন তিনি। অনুশীলনের দ্বিতীয় দিন কথা বলেন সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে। সেখানে বিসিবি থেকে বরখাস্ত হওয়ার অতীত অধ্যায়ের প্রশ্ন উঠলে সেটা এড়িয়ে যান তিনি।
ইংলিশ কোচ বলেন, ‘বিসিবি নিয়ে কোনো আলোচনায় যেতে রাজি নই আমি। ওই রকম কিছু করাটা ঠিকও হবে না। ওই অধ্যায় এখন অতীত। কোনো পদ বা দায়িত্ব থেকে কারও বিদায়ের ক্ষেত্রে লোকের নানা মত থাকেই। আমি ওসব প্রসঙ্গে জড়াতে চাই না। স্রেফ বলতে চাই, বাংলাদেশের মানুষের মাঝে ফিরতে পেরে আমি সন্তুষ্ট। বিশেষ করে, এখানে কুমিল্লা দলে দারুণ এক পারিবারিক আবহ আছে এবং এটিই আমি উপভোগ করি। পারিবারিক আবহের মধ্যে থাকতে চাই।'
২০১৮ সালের জুন মাসে দুই বছরের চুক্তিতে বাংলাদেশ ক্রিকেটে দলের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ পান রোডস। পরের বছর বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যর্থতার পর আচমকাই চাকরি হারাতে হয় এই ইংলিশ কোচকে।
যদিও রোডস বলছেন, ২০১৯ বিশ্বকাপে ততটা খারাপ করেনি বাংলাদেশ।
রোডসের কথায়, ‘আমি যা বলতে পারি, বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোর দিকে যদি তাকান, পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ ছাড়া অন্যান্য ম্যাচে আমরা ভালো খেলেছি। ভারত, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে গেলেও আমরা ভালো লড়াই করেছি। এমন নয় যে বাংলাদেশ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিল। আমরা বেশ ভালো খেলেছি। মিশ্র বিশ্বকাপ ছিল আসলে, ভালো কিছু জয় পেয়েছিলাম আমরা, নিউজিল্যান্ডকেও যথেষ্ট বেগ দিয়েছিলাম। আমার তাই মনে হয়, লোকে যতটা ভাবে, ততটা বাজে বিশ্বকাপ ছিল না সম্ভবত।'
বাংলাদেশের সাবেক এই কোচ আরও বলেন, ‘শুনতে হয়তো পাগলাটে শোনাবে, আমি খুবই ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করেছি (বাংলাদেশের ক্রিকেট)। এখানে থাকার সময়টা আমি সত্যিই উপভোগ করেছি, কুমিল্লার হয়ে আগামী ৫ সপ্তাহ যেমন উপভোগ করব। এখানকার সবকিছুই আমি অনুসরণ করেছি। বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে আপনারা কী প্রতিবেদন করছেন সেসবও।’