পেরেরার শতকের পরও জয়ের দেখা পায়নি ঢাকা
ঢাকা ক্যাপিটালসের অধিনায়ক থিসারা পেরেরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন। ৪১ রানে ছয় উইকেট হারানো ঢাকাকে শেষ পর্যন্ত টেনে নেন তিনি। শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে পূর্ণ করেন শতরান। তবুও, জিততে পারেনি ঢাকা। বাকি ব্যাটারদের ব্যর্থতায় লড়াই জমিয়েও ২০ রানে হারে ঢাকা।
বিপিএলের একাদশ আসরে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে এসেও ভাগ্য ফেরেনি ঢাকার। প্রথম দুই ম্যাচের মতো এদিনও মানতে হয়েছে হার। বিপিএলে আজ শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ঢাকা হেরেছে খুলনা টাইগার্সের কাছে। খুলনার এটি টানা দ্বিতীয় জয়।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা খুলনা ২০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে তোলে ১৭৩ রান। জবাবে ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ১৫৩ রানে থামে ঢাকা। ৬০ বলে ৯টি চার ও সাতটি ছক্কায় ১০৩ রানে অপরাজিত থাকেন পেরেরা।
রান তাড়ায় শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে ঢাকা। ২৫ রানে তিনটি, ৪১ রানে হারায় ছয় উইকেট। ঢাকার জয়ের সম্ভাবনা শেষ হয় তখনই। উল্টো শঙ্কা জাগে অল্প রানে অলআউটের লজ্জা পাওয়ার। কিন্তু, স্রোতের বিপরীতে দলকে টেনে তোলেন অধিনায়ক পেরেরা। সপ্তম উইকেট জুটিতে চতুরাঙা ডি সিলভাকে নিয়ে জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন তিনি। দুই লঙ্কানের জুটিতে আসে অবিচ্ছিন্ন ১১২ রান। তবে, চতুরাঙার মন্থর ইনিংসও দায়ী ঢাকার হারের পেছনে। ২০ বলে ১১ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
খুলনার পক্ষে চার ওভারে এক মেডেনসহ ছয় রান দিয়ে তিন উইকেট নেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। দুই উইকেট পান আবু হায়দার রনি।
এদিকে, ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনার দুই ওপেনারের ব্যাটে বড় সংগ্রহের আভাস থাকলেও বেশিদূর যেতে পারেননি নাঈম শেখ ও উইলিয়াম বোসিস্তো। নাঈম ১৭ বলে ৩০ এবং বোসিস্তো করেন ২৮ বলে ২৬ রান। ওয়ানডাউনে নামা আফিফ হোসেনের ব্যাট থেকে আসে মাত্র এক রান। ভালো করতে পারেননি ইব্রাহিম জাদরানও। পাঁচ রান করে বিদায় নেন তিনি। খুলনা অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজও করতে পারেননি আট রানের বেশি।
মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা টেনে নেন খুলনাকে। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কেনের ব্যাট থেকে আসে দলীয় সর্বোচ্চ ২২ বলে ৩২ রান। এছাড়া, ১৫ বলে ২২ করেন জিয়াউর রহমান। শেষ দিকে আবু হায়দার রনির আট বলে অপরাজিত ২১ রানের ক্যামিওতে খুলনা পার করে ১৭০ রানের ঘর।
ঢাকার পক্ষে চতুরাঙা ডি সিলভা নেন দুই উইকেট। একটি করে উইকেট পান আবু জায়েদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও থিসারা পেরেরা।