পূর্বসূরিদের অনুমানকে সত্য প্রমাণ করলেন ক্যাসেমিরো
গোলের খেলা ফুটবল। যারা গোল করেন, তারাই নায়কের আসনে বসেন। তবে যারা ফুটবল নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন, তাদের কাছে মধ্যমাঠ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আর যদি মধ্যমাঠের তারকাই করেন ম্যাচজয়ী গোল, তাহলে জমে একদম ক্ষীর!
কাতার বিশ্বকাপে 'জি'- গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সুইজারল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। ৮৪ মিনিটে জয়সূচক গোল আসে মিডফিল্ডার ক্যাসেমিরোর পা থেকে! ব্রাজিলের মাঝমাঠের অন্যতম সেরা অস্ত্র আজ আবার প্রমাণ করলেন, কেনো তিনি অন্যদের চেয়ে আলাদা।
নেইমারকে ছাড়া আক্রমণে কিছুটা শূন্যতা চোখে পড়লেও ক্যাসেমিরো শেষ পর্যন্ত সেই অভাব পূরণ করে দেন। কি মাঝমাঠ, কি আক্রমণ! সব জায়গায় রাখেন আধিপত্য। তাতে ব্রাজিলও পায় জয়ের স্বস্তি। সঙ্গে গুরুপূর্ণ ৩ পয়েন্ট। যাতে ভর করে ফ্রান্সের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে পা রাখে তিতের শিষ্যরা।
ম্যাচের আগে ব্রাজিলের সাবেক ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার গিলবার্তো সিলভা বিবিসিকে দেওয়া এক কলামে বলেছিলেন, "ক্যাসেমিরো বদলে দিতে পারেন যে কোনো ম্যাচের গতিপথ। সে এমন এক অস্ত্র, দলের মধ্যে সাম্যঞ্জস্য বজায় রাখেন। সে জানে কখন কী করতে হবে তাকে। সেই অনুযায়ী মাঠে পারফর্ম করে। ব্রাজিলের মতো আক্রমণাত্মক দলে ক্যাসেমিরোর মতো একজন দরকার, যে কি-না সময় বুঝে খেলবে।"
কী দুর্দান্তভাবে পূর্বসূরিদের অনুমানকে সত্য প্রমাণ করলেন ক্যাসেমিরো। পুরো ম্যাচে ছিলেন সপ্রভীত। একাধিক সফল ট্যাকল করেছেন। আগলে রেখেছেন মধ্যমাঠ। অফসাইডের কারণে বাতিল হওয়া ভিনিসিউস জুনিয়রের গোলটির উৎসও ছিলেন ক্যাসেমিরো।
ক্যাসেমিরোকে অনেক পকেট ডায়নামাইট বলে ডাকে। তা ভুল কিছু ডাকেন না। প্রতিপক্ষের আক্রমণকে একপ্রকার পকেটেই পুরে রাখেন তিনি। তাতে লাভটা হয় ব্রাজিলের। সাম্বার ছন্দে আনন্দ জাগায় কোটি সমর্থকের প্রাণে।