ফ্রান্সে ট্রলের শিকার মেসি, কড়া জবাব সাবেক ফুটবলারের
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে খেলতে গিয়ে আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি দর্শকদের উষ্ণ অভ্যর্থনায় সিক্ত হয়েছিলেন। তবে সপ্তাহ খানেকের মধ্যে যেন মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখলেন মেসি। ফরাসি ক্লাব পিএসজিতে ফিরেই শুনতে হলো দুয়োধ্বনি।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কার প্রতিবেদন অনুযায়ী গত রোববার(২ এপ্রিল) লিগ ওয়ানের ম্যাচে লিওঁর বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল পিএসজি। যা ছিল আন্তর্জাতিক বিরতির পর পিএসজির প্রথম ম্যাচ। আর এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে মেসি পিএসজিতে নিজের ৫০তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন। তবে এমন ম্যাচেই কি না ১-০ গোলে হেরে যায় ফরাসি জায়ান্টরা। আর এমন হার মেনে নিতে পারেননি পিএসজি সমর্থকরা। মেসিকে শুনতে হয়েছে নিজ ক্লাবের ভক্ত-সমর্থকদের দুয়োধ্বনি।
বার্সা ছেড়ে পিএসজিতে যাওয়ার পর লিওনেল মেসি বেশ কয়েকবারই ক্লাবটির ভক্তদের রোষের মুখে পড়েছেন। যার ফলে বেশ কয়েকবার তাদের দুয়োর মুখে পড়েন তিনি। যার সর্বশেষ উদাহরণ হচ্ছে অলিম্পিক লিওর বিপক্ষে ম্যাচটি।
ওই ম্যাচে মাঠে নামার আগেই দুয়োর শিকার হন মেসি এবং মাঠে তার পায়ে বল গেলেই দুয়ো দিচ্ছিল সমর্থকরা। এমনকি ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমের দিকে যাওয়ার সময়ও ফরাসি ক্লাবটির সমর্থকদের দুয়োর মুখে পড়েন তিনি।
মেসির সঙ্গে ভক্ত-সমর্থকদের এমন আচরণ মেনে নেতি পারেননি সাবেক ফরাসি ফুটবলার থিয়েরি অঁরি। এই বিষয়ে তিনি জানান, ‘এটা সত্যিই লজ্জাজনক, আপনি ১৩ গোলের পাশাপাশি ১৩টি অ্যাসিস্ট করা সেরা খেলোয়াড়ের সঙ্গে এমনটা করতে পারেননা।’
সাবেক এই তারকা আরও যোগ করেন, ‘ফুটবলের ভালোবাসার টানে যদি মেসি আবার বার্সেলোনায় ফিরে আসত, তাহলে কতো ভালো হতো। কারণ তার যেভাবে বিদায় নেওয়া উচিত ছিল, সেভাবে সে বিদায় নেয়নি। বিদায়ের সময় তার কান্নাই সব বলে দেয়া।’
চলমান মৌসুমে পিএসজির এটি পঞ্চম হার। সবগুলোই এসেছে ২০২৩ সালে। এতে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানটি আর মজবুত নেই প্যারিসিয়ানদের জন্য। ২৯ ম্যাচে তাদের অর্জন ৬৬ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে দুই ও তিনে আছে যথাক্রমে লেঁস ও মার্সেই।
উল্লেখ্য, চলতি মৌসুম পরেই পিএসজির সঙ্গে শেষ হবে মেসির চুক্তি। এরপর তিনি ফ্রি এজেন্ট হিসেবে বিশ্বের যে কোনও ক্লাবে চলে যেতে পারবেন। যদিও পিএসজি এখনও তাকে দলে রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এদিকে মেসিকে দলে ভেড়াতে বসে আছে বার্সেলোনা, ইন্টার মিয়ামি ও আল হেলালের মতো ক্লাব।