বাংলাদেশকে নিয়ে আমি গর্বিত : তামিম
সূদর নিউজিল্যান্ডে গিয়ে নিজ দেশকে প্রশংসায় ভাসালেন বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। করোনা টিকার ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকা নিয়েও প্রশংসা করেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। বিদেশি সংবাদমাধ্যমের সামনে টিকা নেওয়ার ব্যাপারটিকে প্রসঙ্গ করে তামিম জানালেন, বাংলাদেশকে নিয়ে গর্বিত তিনি।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশে টিকা দেওয়া শুরু হয়। টিকার প্রথম ডোজ নিয়েই নিউজিল্যান্ড সফরে উড়াল দিয়েছে বাংলাদেশ দল। শুধু ক্রিকেটাররাই নন, দেশের সাধারণ মানুষরাও টিকা দিচ্ছেন। অথচ স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটারদের এখনো টিকা দেওয়ার সুযোগ হয়নি।
নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন শেষে আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলনের মুখোমুখি হন তামিম। সেখানকার সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে করোনা টিকার প্রসঙ্গ। সেখানেই তামিম নিজে দেশ নিয়ে প্রশংসা করলেন।
তামিম বলেন, ‘এটাকে (টিকা নেওয়া) আমার কাছে ভবিষ্যৎ মনে হয়। কোনো একটা পর্যায়ে সবাইকেই নিতে হবে। দেশ হিসেবে আমাদের দেশ দারুণ কাজ করেছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে আগে থেকেই সব ব্যবস্থা করেছেন। দারুণ কাজ করেছেন তিনি। জাতি হিসেবে আমরা খুবই সৌভাগ্যবান। শুধু আমরা ক্রিকেটাররাই নয়, সাধারণ মানুষও ভ্যাকসিন পাচ্ছে এবং সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো, সবার জন্য ফ্রি। জাতি হিসেবে আমরা যা করেছি, বাংলাদেশকে নিয়ে আমি গর্বিত।’
নিজের টিকা নেওয়ার অনুভূতি নিয়ে তামিম বলেন, ‘আমি নিশ্চিত অন্যান্যও দেশও এটা অনুসরণ করবে এবং আগে হোক বা পরে, সবাইকে নিতেই হবে। আমি নিজেও প্রথম ডোজ নিয়েছি। খারাপ লাগেনি, কোনো কিছু অনুভব করিনি। ভালো ছিল সবকিছু।’
এবারের বিদেশ সফরে ভিন্নধর্মী অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। করোনা বদলে দিয়েছে সবকিছু। এখন আর আগের মতো স্বাভাবিকভাবে বিদেশ সফরের সুযোগ নেই। যার কারণে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদেরও নিউজিল্যান্ডে গিয়ে ১৪দিনের কঠোর কোয়ারেন্টিন মানতে হয়েছে।
এত লম্বা সময় কোয়ারেন্টিনের পর আজ থেকে মুক্ত ক্রিকেটারেরা। কোয়ারেন্টিন মুক্ত হয়ে বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল জানালেন, এবারের বিদেশ সফরের নতুন অভিজ্ঞতা।
আজ থেকে নিউজিল্যান্ডে তামিমদের জনসমাগমে চলতে বাধা নেই। কোয়ারেন্টিন মুক্তির দিনে মাস্ক ছাড়াই খোলা আকাশের নিচে ক্যামেরার সামনে হাজির হলেন তামিম। নিউজিল্যান্ড থেকে বিসিবির পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় তামিম বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য নতুন এক অভিজ্ঞতা। আমরা জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকেছি, কিন্তু সঙ্গনিরোধ অবস্থায় থাকিনি। সত্যি বলতে কি, এখানে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা আমাদের ভালোভাবে দেখাশুনা করেছেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট আমাদের যেভাবে দেখাশুনা করেছে, সে জন্য আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সময়টাকে আমাদের জন্য তারা যতটা সহজ করা যায়, সেটা তারা করেছে।’