বাংলাদেশের বোলারদের পারফরম্যান্সে খুশি গিবসন
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিন বোলারদের পারফরম্যান্সে খুশি বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন। স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে বড় স্কোর গড়তে দেয়নি সফরকারী টাইগাররা। প্রথম দিন শেষে ৫ উইকেটে ২৫৮ রান গড়ে কিউইরা।
ডেভন কনওয়ে ছাড়া নিউজিল্যান্ডের অন্য ব্যাটারদের রান করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। কনওয়ে ১২২ রান করেন। এছাড়া ওপেনার উইল ইয়ং ৫২ রানে ফিরেন। আরেক ওপেনার ও অধিনায়ক টম লাথামকে সাজঘরে ফেরান বাংলাদেশি পেসার শরিফুল ইসলাম। মিডলঅর্ডারে অভিজ্ঞ রস টেইলরকে ৩১ রানে আটকে দেন শরিফুল। আর দিনের শেষ ভাগে উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেলকে বোল্ড করেন আরেক পেসার এবাদত হোসেন।
দুই পেসার শরিফুল-এবাদতের সঙ্গে উইকেট শিকারের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। কনওয়ের গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি তিনি নিয়েছেন।
উইকেট না পেলেও, বল হাতে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তাসকিন ২০ ওভারে ৬১ ও মিরাজ ২৭ ওভারে ৭২ রান খরচ করেন।
প্রথম দিন বাংলাদেশি বোলারদের এমন পারফরম্যান্সে খুশি গিবসন। নিউজিল্যান্ড থেকে এক ভিডিও বার্তায় গিবসন বলেন, ‘টসের সময় আমার মনে হয়েছিল, নতুন বল কিছুটা মুভমেন্ট করবে, তাই হয়েছে। আজ বেশ গরম ছিল। উইকেটের আদ্রতা দ্রুত শেষ হয়ে যায় এবং উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য উপযোগী হয়ে ওঠে। তারপরও ছেলেরা যেভাবে লড়েছে, তাতে আমি গর্বিত। পেসাররা হাল ছাড়েনি। মিরাজ এক পাশ আটকে রাখে, অন্য প্রান্ত থেকে পেসারদের বল করার সুযোগ করে দিয়েছে। আমরা লড়াই চালিয়ে গেছি, এতে আমি গর্বিত।’
নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে পেসাররা ভালো করেছে বলে মনে করেন গিবসন, ‘কঠিন কন্ডিশনে পেসাররা ভালো বল করেছে। তাদের জন্য এটি অচেনা কন্ডিশন। এবাদতও ভালো বল করেছে। নতুন বলে সকালে দুর্দান্ত শুরু করে। তবে আরও কয়েকটি উইকেট হয়তো পেতে পারতাম।’
বাংলাদেশি বোলিং কোচ আরও বলেন, ‘বল সুইং করানো নিয়ে অনেক কাজ করছি আমরা। সবাই সুইং করানোর চেষ্টা করেছে। সফলও হয়েছে তারা। আমি সন্তুষ্ট যে সকালের কন্ডিশন আমরা কাজে লাগাতে পেরেছি।’