‘বার্তোমেউর ঘটনায় বার্সার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে’
একদিন আগে বার্সেলোনা শিবিরে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এরপর আটক করা হয় সাবেক বার্সা সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউকে। সাবেক সভাপতির ঘটনায় খারাপ লেগেছে ক্লাবটির কোচ রোনাল্ড কোম্যানের। এই ঘটনায় বার্সার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে মনে করেন ডাচ কোচ।
গত বছর আগস্টে বার্তোমেউই নিয়োগ দিয়েছেন কোম্যানকে। কিন্তু ডাচ কোচকে নিয়োগ দিয়ে অক্টোবরে চাপের মধ্যে তিনিই পদত্যাগ করেন। পদত্যাগ করেও ছাড় পাননি। দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায়িক দুর্নীতির অভিযোগে ফের পুলিশের অভিযোগের সামনে তিনি। যদিও পুলিশ আটক করার পরদিন জামিনে ছাড়া পেয়েছেন বার্তোমেউ।
বার্তোমেউর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ব্যাপারটি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সামনে বলেন, ‘এই খবর শোনার পর আমি ভেঙে পড়েছিলাম। কারণ আমি বার্তোমেউ ও গ্রাউকে ভালোমতোই চিনি। তাদের জন্য আমার খারাপ লাগছিল। অল্প সময় হলেও তাদের সঙ্গে আমার ভালো কিছু মুহূর্ত আছে। আর, বার্তোমেউ আমার কাছে সবসময় দারুণ একজন মানুষ। ক্লাবের ভাবমূর্তির জন্য এটা ভালো নয়। তবে তদন্তে কী আসে, দেখার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। সেই সময় আমি এখানে ছিলাম না, তাই এটা নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। আমাদের কেবল নিজেদের কাজে মনোযোগ দিতে হবে।’
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম কাদেনাসেরের সংবাদ অনুযায়ী, ‘বার্সাগেট’ স্ক্যান্ডালের কারণে বার্তোমেউয়ের বিরুদ্ধে ক্লাবের আটজন সদস্য সম্মিলিতভাবে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। বার্তোমেউ সভাপতি থাকাকালীন একটি সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিকে ক্লাবের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভুয়া অভিযোগ ছড়ানোর জন্য টাকা দেন বলে অভিযোগ উঠে। সে জন্য মেসি, পেপ গুয়ার্দিওলা, জাভি ও জেরার্ড পিকের বিরুদ্ধে বদনাম ছড়ানো হয়। মেসি সেই সময় ক্লাবের চুক্তিপত্রে সই করতে চান না বলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর বের হয়।
ওই ঘটনার কিছুদিন পরই গত এপ্রিলে ক্লাবের দুর্বল ব্যবস্থাপনার কথা জানিয়ে এক সঙ্গে ছয় পরিচালক পদত্যাগ করেন। প্রবল চাপের মুখে পড়ে বছরের শেষ দিকে পদত্যাগ করেন বার্তোমেউ নিজেও। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী রোববার ক্লাবটিতে নতুন সভাপতি নির্বাচনে ভোট হবে।