ব্যাটিং ব্যর্থতায় ডুবল বাংলাদেশ
লক্ষ্যটা খুব বেশি বড় নয়। সিরিজ জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে মাত্র ১৫৭ রান। কিন্তু এই রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই জোড়া ধাক্কা খেল বাংলাদেশ। এর পর শুধু হতাশাই দেখে বাংলাদেশ।
প্রথমে বিদায় নিয়েছেন ব্যাটিংয়ের মূল ভরসার মুখ লিটন দাস। এরপর মাঠ ছাড়া হয়েছেন অভিষিক্ত পারভেজ হোসেন ইমন। দলীয় ২৪ রানে জোড়া উইকেট হারিয়েছে লাল-সবুজের দল। এরপর বিদায় নিয়েছেন এনামুল হক বিজয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্রুত উইকেট হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ। সেই বিপদ থেকে বের হতে পারল না লাল-সবুজের দল। আফিফ-মেহেদীর চেষ্টার পরও শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের কাছে ১০ রানে হেরে গেল বাংলাদেশ।
আজ মঙ্গলবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৫৬ রান সংগ্রহ করেছে জিম্বাবুয়ে।
হারারের স্পোর্টস ক্লাব মাঠে এই ম্যাচেও টসে জিতে ব্যাটিং নেয় জিম্বাবুয়ে। আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার চেজিস চাকাভা ও ক্রেইগ আরভীনের ব্যাটে উড়ন্ত শুরু করে স্বাগতিকরা। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের ওপেনিং জুটি ভাঙেন একাদশে ফেরা নাসুম আহমেদ।
বাঁহাতি এই স্পিনারের ডেলিভারি কাভারের উপর দিয়ে খেলার চেষ্টা করেন চাকাভা। কিন্তু লাফিয়ে ক্যাচ মুঠোয় জমান আফিফ হোসেন। ভাঙেন ২৯ রানের জুটি। ১০ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় চাকাভা করেন ১৭।
এরপর ষষ্ট ওভারে আক্রমণে এসে জিম্বাবুয়েকে জোড়া ধাক্কা দেন মেহেদী হাসান। তুলে নেন আক্রমণাত্মক ব্যাটার ওয়েসলি মাধাভেরে ও সিকান্দার রাজাকে। দারুণ ইয়র্কারে মাধাভেরেকে বোল্ড করেন মেহেদী। এরপর উইকেটে আসা রাজাকে দেন গোল্ডেন ডাকের স্বাদ। মেহেদীকে স্লগ করে মারার চেষ্টায় ফাইন লেগে ক্যাচ দেন রাজা।
আগের ম্যাচে ৫ শিকার নেওয়া সৈকত আজ উইকেটের জন্যই ছটফট করছিলেন। অবশেষে শন উইলিয়ামসকে নিজের প্রথম শিকার বানিয়ে স্বস্তি পান এই ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া সৈকত। ৮ বলে ২ রান করে বিদায় নেন উইলিয়ামস।
জিম্বাবুয়ের পরের উইকেট নেন একাদশে ফেরা মাহমুদউল্লাহ। বোলিংয়ে এসেই তিনি বিদায় করেন ক্রেইগ আরভীনকে।
৫৫ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। তখন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু হুট করেই বদলে যায় দৃশ্যপট। নাসুমের করা ১৫তম ওভারে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন বার্ল। এক ওভারে নাসুমকে ৫ ছক্কা ও এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জিম্বাবুয়েকে ম্যাচে ফেরান তিনি। লুক জঙ্গুয়ের সঙ্গে জিম্বাবুয়েকে শক্ত জুটি উপহার দেন তিনি। এই জুটিতেই বড় সংগ্রহ পেয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। শেষ পর্যন্ত ২৮ বলে ২ বাউন্ডারি ও ৬ ছক্কায় ৫৪ রান করেন বার্ল। তাঁর সঙ্গে ২০ বলে ৩৫ রান করেন লুক জঙ্গুয়ে।