মুশফিকের আগে যে ক্লাবে ছিলেন ২ বাংলাদেশি
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ইনিংসের পর বৃষ্টি বাগড়া দিয়েছে। প্রকৃতির ঝড়ো হাওয়ায় খেলা বন্ধ হওয়ার আগে আইরিশদের ওপর একপ্রস্ত ঝড় বইয়ে দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ৬০ বলে ১০০ রানের ইনিংসে টালমাটাল হয়ে গেছে অতিথিরা। দুর্দান্ত এক ইনিংসে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করার পাশাপাশি মুশফিক করেছেন রেকর্ড, ছুঁয়েছেন এক মাইলফলক।
৬০ বলে করা মুশফিকের শতকটি একদিনের ক্রিকেটে বাংলাদেশের দ্রুততম। ৪৩.১ ওভারে কার্টিস ক্যাম্পাসের করা বাউন্সারকে মিড অফে চারে পরিণত করেন মুশফিক। ব্যক্তিগত সংগ্রহ ৫২ থেকে পৌঁছায় ৫৬ রানে। এতেই মুশফিক প্রবেশ করেন সাত হাজার ওয়ানডে রানের ক্লাবে। তৃতীয় বাংলাদেশি ব্যাটার ও সবমিলিয়ে ৪৫তম ক্রিকেটার হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাত হাজার রান করার কৃতিত্ব অর্জন করেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত এই ক্রিকেটার।
দ্বিতীয় ওয়ানডে শুরুর আগে ২৪৪ ওয়ানডেতে মুশফিকের সংগ্রহ ছিল ছয় হাজার ৯৪৫ রান। ম্যাচ শেষে এখন তিনি দাঁড়িয়ে আছেন সাত হাজার ৪৫ রানে। মুশফিকের আগে বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে সাত হাজার রান করার মাইলফলক স্পর্শ করেন সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল।
এই ক্লাবে প্রবেশ করতে মুশফিকের ২৪৫ ম্যাচ লাগলেও তামিমের লেগেছিল ২০৬ ম্যাচ, সাকিবের ২২৮। তবে, সবচেয়ে কম ম্যাচে সাত হাজার রান স্পর্শ করার রেকর্ড দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ব্যাটার হাশিম আমলার দখলে। ১৫৩ ম্যাচে এই মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন তিনি।