মেসি চান না এই উৎসব থামুক!
এই মুহূর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী দেশ কোনটি—এই প্রশ্নের জবাবে আর্জেন্টিনার নামটাই উঠে আসবে সবার আগে। অর্থনৈতিকভাবে হয়তো খুব সচ্ছল নয় দেশটি, কিন্তু আনন্দের কমতি নেই। বিশ্বকাপ জিতে চেহারাটাই পাল্টে গিয়েছে দেশটির। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি তারকাদের মধ্যেও এসেছে পরিবর্তন। কিন্তু নিজ দেশে ফেরার পর লিওনেল মেসি-রদ্রিগো ডি পলরা পেশাদারিত্ব ভুলে হয়ে উঠেছেন আবেগী।
দেশের মানুষের ভালোবাসায় এতটাই সিক্ত তারা যে মেসি রীতিমতো বলে উঠেছেন, এই উৎসব না থামলে কতোই না ভালো হতো! বিশ্বকাপ জয়ের পর দেশের মানুষের সঙ্গে তা ভাগাভাগি করে নিতে দেশের মাটিতে দুটো প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করে আর্জেন্টিনা। পানামা ও কুরাসাওয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দুটি ছিল খেলার চেয়ে বেশি ছিল উৎসবময়। ভক্ত-সমর্থকদের নিয়ে মেসিরা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করেছে সময়টা। ভালো সময় বোধহয় খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়।
গতকাল বুধবার (২৯ মার্চ) কুরাসাওয়ের বিপক্ষে দারুণ হ্যাটট্টিক করেছেন মেসি। ছুঁয়েছেন ১০০ গোলের মাইলফলক। আর্জেন্টিনা পেয়েছে সাত গোলের বড় জয়। সবকিছু ছাপিয়ে নিজের ইনস্টাগ্রামে মেসি লিখেছেন, ‘খুব চমৎকারভাবে সময়গুলো শেষ হলো। মানুষগুলো খুবই আন্তরিক। যদি সময়টা কখনও শেষ না হতো এবং আমরা সময়টা এভাবে টেনে নিয়ে যেতে পারতাম কতই না ভালো হতো।’
সেই উপায় নেই। আবারও শুরু হবে ক্লাবের ব্যস্ততা। হাজার ব্যস্ততার মধ্যেও এই সপ্তাহটাকে ভুলবেন না মেসিরা, ভুলবে না কেউই। ভালোবাসার এমন অনন্য পরিবেশনা সবসময় পাওয়া যায় না। আকাশী-নীল জার্সির তারকাদের সেটি প্রাপ্য। জাতীয় বীরদের প্রাপ্য সম্মান দিতে দেশের মানুষও দুইবার ভাবেনি।