শক্ত জুটিতে চোখ রাঙাচ্ছে জিম্বাবুয়ে
ব্যাটিং দৃঢ়তার পর বোলিংয়েও দাপট দেখাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ৩০৪ রানের কঠিন লক্ষ্য তাড়া করতে নামা জিম্বাবুয়েকে শুরুতেই জোড়া ধাক্কা দিয়েছে বাংলাদেশ। দুই পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম মিলে তুলে নিয়েছেন স্বাগতিকদের দুই ওপেনারকে। এরপর ওয়েসলি মাধাভেরে ফিরেছেন রানআউট হয়ে। তবে শুরুর ধাক্কা সামলে বেশ ভালোভাবেই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে জিম্বাবুয়ে।
আজ শুক্রবার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৩০৩ রান তুলেছে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮১ রান করেছেন লিটন দাস। অবশ্য তাঁর ইনিংস আরও বড় হতে পারতো। কিন্তু পেশিতে চোট পেয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয় ডানহাতি এই ব্যাটারকে। লিটনের পাশাপাশি রানের দেখা পেয়েছেন এনামুল হক বিজয়, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমও।
হারারের স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস জিতে বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় জিম্বাবুয়ে। আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুর জুটিতে দারুণ করে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস মিলে গড়েন শতরানের জুটি।
দুই ওপেনার মিলে শুরুটা সাবধানী করেন, এরপর ধীরে ধীরে হাত খুলে খেলেন। এর মধ্যেই লিটনকে সঙ্গে নিয়ে নিজের ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরির দেখা পেয়ে যান তামিম। শেষ পর্যন্ত ২৬তম ওভারে এসে এই জুটি ভাঙে জিম্বাবুয়ে।
ওই ওভারে সিকান্দার রাজার লেংথ বলটি মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারার চেষ্টা করেন তামিম। কিন্তু পিচ করে একটু থমকে আসে বল। তামিমের ব্যাটের কানায় লেগে সহজ ক্যাচ যায় শর্ট থার্ড ম্যানে। সেখানে ক্যাচ নেন ইনোসেন্ট কাইয়া। মোট ৯ বাউন্ডারিতে ৮৮ বলে ৬২ রান করে শেষ হলো তামিমের ইনিংস। আর ওপেনিং জুটি ভাঙল ১১৯ রানে।
এরপর লিটনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিন বছর ওয়ানডে একাদশে ফেরা এনামুল হক বিজয়। এই জুটি গড়ার পথে ব্যক্তিগত অর্ধশতক স্পর্শ করেন লিটন দাস। এনামুলের সঙ্গে ৫২ রানের জুটি উপহার দেন লিটন। অবশ্য এই জুটি আরো বড় হতে পারত। ব্যাটিং চলাকালীন পেশিতে টান পড়ে লিটনের। সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এই ডানহাতি ব্যাটার। এর পর আর ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি। স্ট্রেচারে করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ড্রেসিংরুমে। দুর্দান্ত খেলতে থাকা লিটন ৮৯ বলে ৮১ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হন। তার ইনিংসে ছিল ৯টি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা।
লিটন ফিরলেও অবশ্য বিপদ বাড়েনি বাংলাদেশের। উইকেটে থাকা এনামুল মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে গড়েন আরেকটি জুটি। এই জুটি গড়ার পথেই ৪৭ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন ওয়ানতে তিন বছর পর ফেরা এনামুল।
মুশফিকের জুটি শক্ত জুটি গড়ে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন এনামুল। শেষ পর্যন্ত ৭৩ রান করেন তিনি। ৬২ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল ৬টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা। তাঁর সঙ্গে ৪৯ বলে ৫২ রান করেন মুশফিকুর রহিম। আর শেষ দিকে নেমে ১২ বলে ২০ রান করেন মাহমুদউল্লাহ।