সাকিবের ফর্ম নিয়ে যা ভাবছেন অধিনায়ক তামিম
সাম্প্রতিক সময়ে তিন নম্বরে ব্যাট হাতে নিজেকে মেলে ধরতে না পারলেও, সাকিব আল হাসানের ফর্ম নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। গত জুলাইয়ে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই সিরিজের তিন ম্যাচে সাকিব মাত্র ১৯ (১৫, ০, ৪) রান করেন। শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে জিম্বাবুয়েতে একই জায়গায় ব্যাট করেন সাকিব, আট উইকেটসহ ১৪৫ রান করেছিলেন তিনি। সেবার সিরিজ-সেরা হয়েছিলেন সাকিব। তাই আইসিসির প্লেয়ার অব দ্য মান্থের পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি।
এ ব্যাপারে তামিম বলেন, ‘গত ছয় ওয়ানডেতে একজন খেলোয়াড়ই (সাকিব) ৩ নম্বরে ব্যাট করেছেন। সাকিবে ফর্ম নিয়ে আমি চিন্তিত নই।’
সাকিব যদিও শেষ সিরিজে একই পজিশনে ক্লিক করতে পারেনি, তবে ইতিহাস ও তাঁর পরিসংখ্যান সাফল্যের পক্ষে কথা বলছে। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে দুটি সেঞ্চুরি ও পাঁচটি হাফ সেঞ্চুরিতে তিন নম্বরে ব্যাট করে ৮৬ দশমিক ৫৭ গড়ে আট ম্যাচে ৬০৬ রান করে ইতিহাস গড়েছিলেন সাকিব। একটি ম্যাচে পঞ্চাশ রান অতিক্রম করতে পারেননি, তারপরও সেই ম্যাচে ৪১ রান করেছিলেন তিনি।
তবে পাঁচ নম্বর পজিশন নিয়ে চিন্তিত তামিম। যেখানে টিম ম্যানেজমেন্ট দুই নতুন মুখ ইয়াসির আলী রাব্বি ও মাহমুদুল হাসান জয়ের মধ্যে একজনকে খেলানোর কথা ভাবছে।
এ ব্যাপারে তামিম বলেন, ‘আমি পাঁচ নম্বর ব্যাটিং পজিশন নিয়ে কিছুটা চিন্তিত। আমরা জয় ও ইয়াসিরের মতো খেলোয়াড় নিয়েছি, তাই আমাদের হাতে বিকল্প আছে। আমরা যদি এই পজিশনের জন্য উপযুক্ত একজনকে পাই তবে, এটি আমাদের জন্য ভালো হবে।’
বাংলাদেশ অধিনায়ক আরো বলেন, ‘এই পজিশন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এখানে দ্রুত গতিতে রান করতে হয়। যদি শুরুর দিকে কিছু উইকেট হারিয়ে ফেলে, তাহলে পাঁচ নম্বর ব্যাটারকে ইনিংস গড়তে হয়। যারা ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করেছে তাঁদের আমরা এই জায়গায় সুযোগ দেব।’
ওপেনার হিসেবে জয়কে পছন্দ তামিমের, ‘আমি তাকে ঘরোয়া ওয়ানডে ফরম্যাটে মিডল অর্ডারে খেলতে দেখেছি। তিন ও চার নম্বর পজিশনে ব্যাট করেছে। শীর্ষ তিনে ব্যাট করার ক্ষমতাও আছে তার। সে মূলত ভালো স্পিন খেলে, এ কারণেই আমরা তাকে দলে রেখেছি। আমি মনে করি, তরুণ হিসেবে সেরা খেলোয়াড় সে।’
ইয়াসিরকে নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘ইয়াসিরের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা প্রযোজ্য। যখনই সুযোগ পেয়েছে, ভালো খেলেছে। দেখা যাক পাঁচ নম্বরে কে খেলছে।’