সিরিজ জিততে বাংলাদেশের চাই ২৪১ রান
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে জিম্বাবুয়ে। কিন্তু শুরুটা খুব একটা সুখকর হয়নি। শুরুতেই চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। জিম্বাবুয়ের ব্যাটিংয়ে প্রথম আঘাত হানেন পেসার তাসকিন আহমেদ। দ্বিতীয় আঘাত হানেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সে ধারাবাহিকতায় শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে থামে ২৪০ রানে।
সর্বোচ্চ ৫৬ রান এসেছে ওয়েসলি মাধেভেরে ব্যাট থেকে। এছাড়া অবদান রেখেছেন ব্রেন্ডন টেলর (৪৬), ডিয়ন মায়ার্স (৩৪), সিকান্দার রাজা (৩০) ও রেগিস চাকাভা (২৬)।
মুস্তাফিজুর রহমানের চোটে এই ম্যাচেও সুযোগ পাওয়া শরিফুল ইসলাম ৪ উইকেট নেন ৪৬ রানে। আগের ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেওয়া সাকিব ২ উইকেট নেন ৪২ রানে। দারুণ বোলিংয়ে ৩৮ রানে তাসকিন আহমেদের শিকার একটি।
ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য এগিয়ে যাওয়ার, আর জিম্বাবুয়ের জন্য সিরিজে ফেরার। এই ম্যাচ জিতলে এক যুগ পর জিম্বাবুয়েতে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পাবে বাংলাদেশ।
২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের মাটিতে শেষ সিরিজ জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। এর পর ২০১১ ও ২০১৩ সালে হেরেছিল।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দারুণ জয় পায় বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়েকে ১৫৫ রানের বড় ব্যবধানে হারায় লাল-সবুজের দল। সাকিব আল হাসান বল হাতের নৈপুণ্যে ও লিটন দাসের সেঞ্চুরিতে এই ম্যাচে বড় জয় পায় বাংলাদেশ।
ম্যাচে সাকিব ৯.৫ ওভার বল করে ৩০ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট তুলে নেন। আর লিটন ১১৪ বলে ১০২ রান করেন।
প্রথমে ব্যাট করে জিম্বাবুয়েকে ২৭৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। এই রান তাড়ায় ১২১ রানে ইনিংস গুটিয়ে নেয় জিম্বাবুয়ে। তাই ১৫৫ রানের বড় জয় ঘরে তোলে লাল-সবুজের দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জিম্বাবুয়ে : ৫০ ওভারে ২৪০/৯ (কামুনহুকামউই ১, মারুমানি ১৩, চাকাভা ২৬, টেইলর ৪৬, মায়ার্স ৩৪, মাধেভেরে ৫৬, রাজা ৩০, জঙ্গুয়ে ৮, মুজারাবানি ০, চাতারা ৪*, এনগারভা ৭*; তাসকিন ১০-০-৩৮-১, সাইফ ১০-০-৫৪-১, মিরাজ ৭.২-০-৩৪-১, শরিফুল ১০-০-৪৬-৪, সাকিব ১০-০-৪২-২, সৈকত ১.৪-০-৭-০, আফিফ ১-০-১১-০)।