সেই বায়ার্নের কাছে বিধ্বস্ত বার্সেলোনা
চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে পুরোনো হিসাব মেটানোর ভালো সুযোগ পেয়েছিল বার্সা। ম্যাচের আগের দিন কোচ রোনাল্ড কোম্যানও জানিয়েছিলেন, তাদের জন্য প্রতিশোধ নেওয়ার বড় সুযোগ এটি। কিন্তু খেলার মাঠে তা আর হলো কই? বরং সেই বায়ার্ন মিউনিখের কাছেই বিধ্বস্ত বার্সেলোনা।
অবশ্য, এবার বায়ার্নের বিপক্ষে পাঁচ গোল কম খেয়েছে বার্সেলোনা। গতকাল দিবাগত রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বায়ার্নের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছে বার্সা। বায়ার্নের জয়ে জোড়া গোল করেছেন রবার্তো লেভানদোভস্কি। বাকি গোলটি করেছেন টমাস মুলার।
২০১৯-২০ মৌসুমে বায়ার্নের বিপক্ষে বড় হারের লজ্জা নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বাদ পড়েছিল বার্সেলোনা। এবারের আসরেও ঘুরে ফিরে বায়ার্নকে পেয়েছে কাতালান ক্লাবটি। গেল মৌসুমে বার্সার সঙ্গে বায়ার্নের দেখা হয় কোয়ার্টার ফাইনালে। এক লেগের ওই কোয়ার্টারে বার্সার জালে গুনে গুনে আট বার বল পাঠায় বায়ার্ন। জার্মানির ক্লাবটির কাছে ৮-২ ব্যবধানে হেরে স্রেফ উড়ে যায় বার্সেলোনা। যে পরাজয়টা ছিল ১৯৫১ সালের এপ্রিলের পর বার্সার সবচেয়ে বড় হার।
এবার আর কোয়ার্টার ফাইনালে নয়, গ্রুপ পর্বেই বায়ার্নকে পেয়েছে বার্সা। চ্যাম্পিয়নস লিগের ড্র হওয়ার পর থেকে তাই আলোচনায় বায়ার্ন ও বার্সার ম্যাচ। কিন্তু, এত আলোচনার ম্যাচে কিছুই করতে পারল না বার্সা। হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের।
অন্যদিকে, বড় জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের মিশন শুরু করেছে জার্মানির ক্লাবটি। এই নিয়ে জার্মান ক্লাবটির বিপক্ষে অষ্টমবার হারল বার্সা।
অবশ্য, মূল ম্যাচে বল দখলে দুদলের খুব একটা পার্থক্য নেই। তবে, আক্রমণে বার্সা থেকে বেশ এগিয়ে বায়ার্ন। বার্সা গোলের জন্য পাঁচটি শট নিলেও কোনোটিই ছিল না লক্ষ্যে। বিপরীতে একচেটিয়া আধিপত্য করা বায়ার্নের ১৭ শটের সাতটি ছিল লক্ষ্যে।
এদিন ম্যাচের ৩৪ মিনিটেই প্রথম গোল পেয়ে যায় বায়ার্ন।ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট নেন মুলার। তাঁর শট এরিক গার্সিয়ার গায়ে লেগে অনেকখানি দিক পাল্টে বল জালে জড়ায়। দ্বিতীয় গোলটি আসে ৫৬তম মিনিটে। মুসিয়ালার বুলেট গতির শট পোস্টে লেগে ফেরার পর ছয় গজ বক্সের মুখে থাকা লেভানদোভস্কি সহজেই বল জালে পাঠান। শেষ দিকে পোলিশ তারকা আরেক বার গোল করলে বায়ার্নের বড় জয় নিশ্চিত হয়। সঙ্গে সঙ্গে উৎসবে মেতে ওঠে বায়ার্ন মিউনিখ।