সেঞ্চুরিয়নে সাকিবের অন্যরকম হাফসেঞ্চুরি
দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার আগেও অনেক সমালোচনার মুখে পড়েছেন সাকিব আল হাসান। মানসিকভাবে ফিট নেই বলে ছুটি নিয়েছিলেন প্রোটিয়া সফর থেকে। অনেক আলোচনার পর শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়েছেন সাকিব। প্রোটিয়া সফরে গিয়ে নিজের প্রথম ওয়ানডেতেই পেলেন সাফল্যের দেখা।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন সাকিব। এই হাফসেঞ্চুরি ছোঁয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৫০ এর সংখ্যাও স্পর্শ করল হাফসেঞ্চুরিতে।
সেঞ্চুরিয়নে আন্দিলে ফেলুকওয়ায়ো বলে ছক্কা হাঁকিয়ে আজ হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করেন সাকিব। ব্যক্তিগত পঞ্চাশ স্পর্শ করতে সাকিব খেলেছেন ৫৩ বল। নিজের ক্যারিয়ারে ২১৯ তম ওয়ানডে খেলতে নেমে ৫০তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
ম্যাচটিতে সাকিবের এই মাইলফলকের দিনে রেকর্ড গড়েছেন তামিম-লিটন দাস। দুজনে মিলে প্রথম উইকেট জুটিতে তুলেছেন ৯৫ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে যেটা যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড।
ওপেনিং জুটিতে দুজন রেকর্ড করেন আরো আগে। এই জুটিতে যখন ৪৬ রান ওঠে তখনই দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সর্বোচ্চ রানের ওপেনিং জুটির রেকর্ড হয়। এর আগে ৯ ওয়ানডেতে ওপেনিংয়ে সর্বোচ্চ ছিল ৪৬ রান। এরপর এই জুটি ৯৩ পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যে কোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ডে নাম লেখান তামিম-লিটন।
রেকর্ড গড়ার পর অবশ্য জুটি আর বড় করতে পারলেন না দুজন। এরপর মাত্র ২ রান যোগ করেই আন্দিলে ফেলুকওয়ায়োর বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম। যদিও রিভিউ নিয়েছিলেন, কিন্তু তাতে রক্ষা পাননি। ফেরার আগে ৬৭ বলে ৪১ রান করেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
তামিম ফেরার পর বেশিক্ষণ টিকলেন না লিটন দাসও। হাফসেঞ্চুরি করে তিনিও ফেরেন সাজঘরে। তাঁকে বিদায় করেন কেশব মাহারাজ। সমান ৬৭ বল খেলে ৫০ রান করেন এই ডানহাতি ওপেনার।