স্যাম কারানের কাছে ম্যাচের হিরো বেন স্টোকস
শেষ রক্ষা হলো না পাকিস্তানের। ঘটাতে পারলো না ১৯৯২-র পুনরাবৃত্তি। বরং প্রতিশোধ নিলো ইংল্যান্ড। ঘরে তুললো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় শিরোপা। আসরের অন্যতম ফেভারিট হিসেবেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইংল্যান্ড। বল হাতে আসরজুড়ে ভেলকি দেখিয়েছেন তরুণ পেসার স্যাম কারান।
সুপার টুয়েলভে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৫ উইকেটসহ ফাইনালের আগে কারানের ঝুলিতে ছিল ১০ উইকেট। কিন্তু ২৪ বছর বয়সী এই তরুণ সবটা যেন জমিয়ে রাখেন ফাইনালের জন্য। ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে শিকার করেন ৩ উইকেট। একাই ধসিয়ে দেন পাকিস্তানের ব্যাটিং স্তম্ভ।
ম্যাচ ও টুর্নামেন্ট দুটোরই সেরা কারান পুরস্কার নিতে এসে নিজের সঙ্গে কৃতিত্ব দিলেন ফাইনালের আরেক নায়ক বেন স্টোকসকে। বললেন, "আমার মনে হয় ম্যাচসেরার পুরস্কারটা স্টোকসের প্রাপ্য। যেভাবে পরিস্থিতি সামনে ম্যাচ বের করলেন, সেটি অনবদ্য। তার সামর্থ্য নিয়ে লোকে কথা বলে, যদিও বলা উচিত নয়। দলের যখনই তাকে প্রয়োজন তখনই সে জ্বলে ওঠে।"
কারান একেবারে ভুল বলেননি। পুরো আসরে নামের প্রতি সুবিচার করতে না পারলেও মোক্ষম সময়ে জ্বলে উঠেছেন স্টোকস। একপর্যায়ে যখন মনে হচ্ছিল ম্যাচ বের করে নেবে পাকিস্তান, মাটি কামড়ে ৪৯ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপদমুক্ত করেন স্টোকস, এনে দেন আরও একটি বিশ্ব শ্রেষ্ঠত্ব।