শেষ ম্যাচ খেলবে ‘নির্ভীক’ জিম্বাবুয়ে
একদিকে ব্যাট-বলের লড়াই, অন্যদিকে আত্মঘাতী বোমা হামলা। শুক্রবার রাতে দ্বিতীয় ওয়ানডে চলার সময় লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের ভেতরে আর বাইরের দুই পরস্পরবিরোধী চিত্র। বোমা হামলায় এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ছয়। এই মর্মান্তিক ঘটনা পাকিস্তান-জিম্বাবুয়ে তৃতীয় ওয়ানডের ওপর সংশয়ের কালো ছোপ ফেলে দিয়েছিল। তবে জিম্বাবুয়ে জানিয়েছে, রোববার শেষ ম্যাচ খেলেই বাড়ি ফিরবে তারা।
দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নেওয়ার পর প্রথম দুই ওয়ানডে জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। রোববারের ম্যাচটি তাই শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। জিম্বাবুয়ের এ সফর ঘিরে অবশ্য ক্রিকেটের লড়াইয়ের চেয়ে পাকিস্তানের নিরাপত্তাব্যবস্থা কতটা নিরাপদ, তা নিয়ে বেশি আলোচনা ছিল। দুটো টি-টোয়েন্টি আর প্রথম ওয়ানডে নির্বিঘ্নে কাটলেও দ্বিতীয় ওয়ানডে ‘নিষ্কলুষ’ থাকতে পারেনি।
তবে সে জন্য শেষ ওয়ানডে খেলতে আপত্তি নেই জিম্বাবুয়ের। এক বিবৃতিতে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড (জেডসি) জানিয়েছে, ‘জিম্বাবুয়ে দলের পাকিস্তান সফর আগামীকাল (রোববার) শেষ হবে। লাহোর পুলিশ জিম্বাবুয়ে দলের সঙ্গে দেখা করেছে। দলকে জানানো হয়েছে, সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণের কারণ খুঁজে বের করতে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন।’
অবশ্য শুধু সিলিন্ডার বিস্ফোরণ নয়, আরো ‘তথ্য’ও পাওয়া গেছে। হামলার পর পাকিস্তানের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, স্টেডিয়ামের পাশের একটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে শনিবার পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী পারভেজ রশীদ জিও টিভিকে বলেছেন, ‘আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী পুলিশের বীরত্বের কারণে স্টেডিয়ামের ভেতরে ঢুকতে ব্যর্থ হয়। হামলাটা হয়েছে স্টেডিয়ামের দেড় কিলোমিটারের মধ্যে।’
আত্মঘাতী বোমা হামলা, না সিলিন্ডার-ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ—তা নিয়ে চাপান-উতোর চললেও এ ঘটনা পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য নিঃসন্দেহে বড় আঘাত। ২০০৯ সালের মার্চে লাহোরেই শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর দীর্ঘ ছয় বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ‘ব্রাত্য’ ছিল দেশটিতে। জিম্বাবুয়ে অনেক বাধা পেরিয়ে এই সফরে এলেও শুক্রবারের ঘটনা আবার দুশ্চিন্তায় ফেলে দিল পাকিস্তানকে।