টেস্টে সাকিবের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি
আক্ষেপ করতেই পারেন মিচেল স্যান্টনার। মাত্র ৪ রানে তো এই বোলারই সাকিবের ক্যাচ মিস করেছিলেন। সাকিবের রান যখন ১৩৭, ওয়াগনারের বলে বিজে ওয়াটলিং দারুণ এক ক্যাচ ধরলেও শেষ পর্যন্ত ভারসাম্য না রাখতে পায়ায় সেই দফায়ও বেঁচে যান সাকিব।
এর পর ১৮৯ রানে ট্রেন্ট বোল্টের বলে সাকিবের ক্যাচ ছেড়ে দেন রস টেলর। তিনবার জীবন পেয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন সাকিব আল হাসান।
এর আগে ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৪৪ রানই এত দিন সাকিবের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল।
প্রথম দিনের ৫ রান নিয়ে খেলতে নামা সাকিব আজ যোগ করেন আরো ১৯৫ রান। ১২৫তম ওভারে কলিন গ্র্যান্ডহোমের বলে পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সাকিব।
তৃতীয় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে দারুণ এই রেকর্ড গড়লেন সাকিব। এর আগে শ্রীলঙ্কার গলে প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেন মুশফিকুর রহিম। ২০০ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এর পর ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০৬ রান করেন তামিম ইকবাল।
ডাবল সেঞ্চুরির দিন তৃতীয় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে তিন হাজার রানের মাইলফলকও ছুঁলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে তিন হাজার রান ও বল হাতে ১৫০ উইকেট নেওয়া ১৪তম অলরাউন্ডার তিনি।
এই এলিট ক্লাবে রয়েছেন গ্যারি সোবার্স, ইমরান খান, কপিল দেব, ইয়াম বোথামদের মতো তারকা অলরাউন্ডাররা। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এটি সাকিবের টানা দ্বিতীয় শতক। ২০১০ সালে হ্যামিল্টনে সেঞ্চুরি করেন এই অলরাউন্ডার।