ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বোচ্চ স্কোর বাংলাদেশের
২০১৫ সালের বিশ্বকাপে অ্যাডিলেড ওভালে বাংলাদেশ গড়েছিল জুটির রেকর্ড। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর ১৪১ রানের জুটিটি ছিল বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি। আজ আরেক ওভালে, সেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই এই রেকর্ড ভেঙে নিজেদের নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন মুশফিক ও তামিম। আজ তাঁরা গড়েছেন ১৬৬ রানের জুটি। এই জুটিতে ভর করে বাংলাদেশও পেয়েছে ৩০৫ রানের বড় সংগ্রহ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর।
২০তম ওভারে ৯৫ রানের মধ্যে বাংলাদেশ হারিয়েছিল সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েসের উইকেট। তারপর প্রায় পুরোটা সময়ই ইংল্যান্ডের বোলারদের ভুগিয়েছেন তামিম ও মুশফিক। তৃতীয় উইকেটে তাঁরা গড়েছেন ১৬৬ রানের জুটি। বিদেশের মাটিতে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটির নতুন রেকর্ড।
৪৪তম ওভারে বাংলাদেশকে জোড়া ধাক্কা দিয়ে তামিম-মুশফিক; দুজনকেই সাজঘরে পাঠিয়েছেন লিয়াম প্লাঙ্কেট। ১২৮ রান করে আউট হয়েছেন তামিম। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটাই কোনো বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ স্কোর। এর আগে ১২৫ রানের ইনিংসটিও ছিল তামিমের। মুশফিক আউট হয়েছেন ঠিক পরের বলেই। ৭২ বলে ৭৯ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে শুরুটা ধীরগতিতেই করেছিলেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। খেলছিলেন খুব সতর্ক হয়ে। কিন্তু পিচের হাবভাব কিছুটা বুঝে উঠতেই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের এই দুই ওপেনার। খেলা শুরু করেছিলেন হাত খুলে। ১১ ওভারেই বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছিল ৫২ রান। কিন্তু ভালো এই শুরুর পর সাজঘরে ফিরেছেন সৌম্য।
বাঁহাতি এই ওপেনার অবশ্য সাজঘরে ফিরতে পারতেন আরও আগে। সপ্তম ওভারে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়েছিলেন মঈন আলীর হাতে। কিন্তু সহজ সেই ক্যাচটা তালুবন্দি করতে পারেননি মঈন। সৌম্য সেসময় ছিলেন ১১ রানে। শুরুতেই জীবন পেয়ে বড়সড় ইনিংস খেলবেন এমনটাই প্রত্যাশা ছিল বাংলাদেশের সমর্থকদের। কিন্তু ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি বাঁহাতি এই ওপেনার। সাজঘরে ফিরেছেন ২৮ রান করে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তামিম ও ইমরুল যোগ করেছিলেন ৩৯ রান। কিন্তু ২০তম ওভারে লিয়াম প্লাঙ্কেটকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অফে মার্ক উডের হাতে ধরা পড়েছেন ইমরুল। সাজঘরে ফেরার আগে করেছেন ১৯ রান। তৃতীয় উইকেটে ১৬৬ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে দিয়েছেন তামিম ও মুশফিক।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে শুরুতেই টস হেরেছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। আর টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেননি ইংলিশ অধিনায়ক ওয়েন মরগান। ওভালে নিজেদের সর্বশেষ চারটি ম্যাচেই টস জিতে বোলিং নিয়ে জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড। আজ বাংলাদেশ ভিন্ন কিছু করে দেখাতে পারে কি না, সেটাই দেখার বিষয়।
২০১৫ সালে ৫০ ওভারের সর্বশেষ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারানোর সুখস্মৃতি নিয়ে উদ্বোধনী ম্যাচে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড ওভালে ইংল্যান্ডকে হারায় বাংলাদেশ। এরপর ২০১৬ সালে মিরপুরেও ইংলিশদের বিপক্ষে জয়ের স্মৃতি রয়েছে বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ দল : তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, ইমরুল কায়েস, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন, মাশরাফি বিন মুর্তজা, রুবেল হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান।
ইংল্যান্ড দল : জেসন রয়, অ্যালেক্স হেলস, জো রুট, ইয়ন মরগান বেন স্টোকস, জস বাটলার মঈন আলী, ক্রিস উকস, লিয়াম প্লাঙ্কেট ও মার্ক উড ও জ্যাক বল।