ব্যাটিং ব্যর্থতায় হতাশার হার
এবি ডি ভিলিয়ার্স, ডেভিড মিলার, কুইনটন ডি কক, ফাফ ডু প্লেসি, জেপি ডুমিনিদের নিয়ে গড়া দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপকে ১৪৮ রানের মধ্যেই বেঁধে রাখতে পেরেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো স্বাগতিকদের। জয়ের জন্য ১৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সাত বল বাকি থাকতেই ৯৬ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশের ইনিংস। ফলে মিরপুরে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৫২ রানের জয় দিয়ে বাংলাদেশ সফরের শুরুটা ভালোভাবেই করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রথম দুই ওভারের মধ্যেই দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারের উইকেট হারিয়ে ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। লেগ স্টাম্পের অনেক বাইরে দিয়ে চলে যাচ্ছিল কাইল অ্যাবটের বল। এমন একটা ওয়াইড বল পুল করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন তামিম। ফিরে গেছেন মাত্র পাঁচ রান করে। পরের ওভারে কাগিসো রাবাদাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে জেপি ডুমিনির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে সাত রান। তৃতীয় উইকেটে ৩৭ রানের জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। কিন্তু টানা দুই ওভারে মুশফিক ও সাব্বির রহমানকে আউট করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ভালো অবস্থানে নিয়ে গেছেন জেপি ডুমিনি। তুলে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ডেভিড মিলারের হাতে ধরা পড়েছেন মুশফিক (১৭)। আর উইকেটের পেছনে দারুণ ক্যাচ ধরে সাব্বিরকে (৪) সাজঘরমুখী করেছেন প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক কুইনটন ডি কক। নাসির আউট হয়েছেন মাত্র এক রান করে। ৩০ বলে ২৬ রান করে বেশ কিছু সময় বাংলাদেশকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন সাকিব। কিন্তু ১৪তম ওভারে তাঁর বিদায়ের পর প্রায় শেষই হয়ে যায় বাংলাদেশের জয়ের আশা। শেষপর্যায়ে লিটন দাসের ২২ রানের ইনিংস হারের ব্যবধানই শুধু কমাতে পেরেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন জেপি ডুমিনি, ডেভিড উইজা ও কাগিসো রাবাদা। এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসির অপরাজিত ৭৯ রানের ইনিংসের সুবাদে স্কোরবোর্ডে চার উইকেটে ১৪৮ রান জমা করেছিল প্রোটিয়ারা।