বিরল কীর্তির সামনে দাঁড়িয়েও ‘নির্লিপ্ত’ সেরেনা
একের পর এক গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্টে সাফল্য পেয়েই চলেছেন সেরেনা উইলিয়ামস। গত বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লাম ইউএস ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। এ বছরের প্রথম দুই গ্র্যান্ড স্লাম অস্ট্রেলিয়ান আর ফ্রেঞ্চ ওপেনের শিরোপাও উঠেছে উইলিয়ামস পরিবারের ছোট মেয়ের হাতে। টানা তিনটি গ্র্যান্ড স্লাম জিতে নেওয়া সেরেনা আরেকটি শিরোপার দ্বারপ্রান্তে। মারিয়া শারাপোভাকে হারিয়ে উইম্বলডনের ফাইনালে উঠেছেন তিনি। শনিবারের ফাইনালে স্পেনের গার্বিনে মুগুরুজাকে হারাতে পারলেই টানা চারটি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের বিরল কীর্তি গড়বেন সেরেনা।
সেমিফাইনালে রুশ তারকা শারাপোভা পাত্তাই পাননি সেরেনার কাছে। ৬-২, ৬-৪ গেমের সহজ জয় দিয়ে ফাইনালে পা রেখেছেন টেনিস র্যাংকিংয়ের এক নম্বর খেলোয়াড়। এই নিয়ে শারাপোভাকে টানা ১৭ ম্যাচ হারালেন সেরেনা। অন্য সেমিফাইনালে মুগুরুজা ৬-২, ৩-৬, ৬-৩ গেমে পোল্যান্ডের আগ্নিয়েস্কা রাদওয়ানসকাকে হারিয়েছে।
টানা চারটি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের কীর্তি অবশ্য আগে একবার গড়েছিলেন সেরেনা, ২০০২ সালের ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকে ২০০৩ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন পর্যন্ত। টেনিসে যার নামই হয়ে গেছে ‘সেরেনা স্লাম’। তবে এই মার্কিন তারকার সামনে আরো বড় কিছুর হাতছানি আছে। উইম্বলডন এবং এরপর ইউএস ওপেনও জিততে পারলে উন্মুক্ত যুগে মাত্র তৃতীয় নারী খেলোয়াড় হিসেবে একই বছরে চারটি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের বিরল কীর্তি গড়বেন সেরেনা। এই কীর্তি আছে শুধু অস্ট্রেলিয়ার মার্গারেট কোর্ট ও জার্মানির স্টেফি গ্রাফের।
তবে এসব কীর্তি বা রেকর্ডের কথা ভেবে কোনো চাপ নিতে রাজি নন সেরেনা, ‘আমি কোনো চাপ নিতে চাই না। শুধু খোলা মনে খেলে যেতে চাই। আমি অনেক গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছি। আমি এমন জায়গায় এখন আছি যেখানে আর কোনো উইম্বলডন না জিতলেও কোনো সমস্যা নেই। শনিবার আমি হেরেও যেতে পারি। হেরে গেলে অবশ্যই খুশি হব না। কিন্তু আমার আরেকটি উইম্বলডন শিরোপার দরকার নেই।’
ফাইনালে সেরেনার প্রতিপক্ষ ২১ বছর বয়সী মুগুরুজার পারফরম্যান্স সবাইকে চমকে দিয়েছে। টেনিস সার্কিটে তেমন পরিচিতি না থাকলেও তিনি আজ উইম্বলডন শিরোপার কাছাকাছি। ১৯৯৬ সালের পর এই প্রথম উইম্বলডনের মহিলা এককের ফাইনালে স্পেনের কোনো খেলোয়াড় উঠলেন।