মাচেরানোর নেতৃত্বে বিদ্রোহ আর্জেন্টিনা দলে!
একের পর এক ব্যর্থতা আর বিতর্কে জর্জরিত হয়ে আছে আর্জেন্টিনা। প্রথম ম্যাচে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে তারা হেরে গেছে ক্রোয়েশিয়ার কাছে; ৩-০ গোলের বড় ব্যবধানে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে জিততেই হবে আকাশি-সাদাদের। এমন অবস্থায় শোনা যাচ্ছে আরো বড়সড় বিতর্কের কথাবার্তা। কোচের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা। আর মাঠে আর্জেন্টিনার নেতৃত্ব মেসি দিলেও এই বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মেসির বার্সেলোনা সতীর্থ হাভিয়ের মাচেরানো।
প্রথম ম্যাচে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে হোঁচট খেয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে যাওয়ার পর কোচ হোর্হে সাম্পাওলির পদত্যাগের দাবিতে মুখর হয়েছিলেন লিওনেল মেসি ও তাঁর সতীর্থরা। কোচের ওপর কোনো আস্থা নেই—এমন কথা জানিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধানকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার রাতে আর্জেন্টিনা দলের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন কোচ সাম্পাওলি, কোচিং দলের অন্যান্য সদস্য ও আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান ক্লাউদিও টাপিয়া।
এই বৈঠকে হাভিয়ের মাচেরানো সাম্পাওলির বিরুদ্ধে বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে জানিয়েছে আর্জেন্টাইন গণমাধ্যমগুলো। তাঁরা কোচ হিসেবে দেখতে চান ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী মিডফিল্ডার হোর্হে বুরুচাগাকে। তাঁরই ১৯৮৬ সালের সতীর্থ রিকার্ডো গুস্তি এ ঘটনা সম্পর্কে বলেছেন, ‘খেলোয়াড়েরা চায় একটা দল বানাতে। তারা সাম্পাওলি ও টাপিয়াকে বলেছে যে প্রথম একাদশ তারাই নির্ধারণ করবে। সাম্পাওলি ডাগআউটে বসে থাকতে চাইলে থাকতে পারেন। কিন্তু তাতে কিছু যায় আসবে না। তার হাতে কিছুই থাকতে পারবে না।’
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম একাদশ দেখে অবাক হয়েছিলেন অনেকেই। মাঠে নামতে দেখা যায়নি অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াকে।