বাংলাদেশ সফরে ‘অগ্নিপরীক্ষা’য় স্মিথ?
মাইকেল ক্লার্কের অবসরের পর এখন তাঁর কাঁধে অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বভার। অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশই হতে যাচ্ছে স্টিভেন স্মিথের প্রথম সফর। অথচ এ সফরের আগে তিনি বেশ অস্বস্তিতে। চোট-অবসর মিলিয়ে বেশ কয়েকজন তারকার অনুপস্থিতির কারণে বাংলাদেশে হয়তো কঠিন পরীক্ষার সামনে পড়তে যাচ্ছেন স্মিথ।
অক্টোবরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে অস্ট্রেলীয়দের সবচেয়ে বড় সমস্যা হতে পারে উদ্বোধনী জুটি নিয়ে। ক্লার্কের মতো অ্যাশেজ শেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন ক্রিস রজার্স। অন্য ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের বাংলাদেশে আসার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। গত শনিবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্টিভেন ফিনের বলের আঘাতে তাঁর বাঁ হাতের বুড়ো আঙুল ভেঙে গেছে। অস্ট্রেলিয়ার সহ-অধিনায়কের আশঙ্কা, দেড় থেকে দুই মাস মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে তাঁকে।
২০১৩ সালেও একই আঙুল ভেঙেছিলেন ওয়ার্নার। সেবার ভারত সফরের আগে কোনোরকমে সেরে উঠলেও বাংলাদেশ সফর নিয়ে তিনি নিজেই সংশয়ে। ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফেরার আগে এই বাঁহাতি ওপেনার বলেছেন, ‘ব্যথা পাওয়ার অনুভূতি কী, তা ভালোমতোই জানা আছে আমার। আগের আঙুলেই চোট পেয়েছি আর ভীষণ ব্যথাও করছে।’
বাংলাদেশে যে যেতে পারছেন না, তা-ও মোটামুটি নিশ্চিত ওয়ার্নারের, ‘আমি জানি যে আঙুলে সামান্য চিড় ধরলেই আবার ব্যাট ধরতে কমপক্ষে তিন সপ্তাহ সময় লাগে। আমি কখনোই কোনো টেস্ট ম্যাচ মিস করতে চাই না। তবে আমি বোধ হয় বাংলাদেশে যেতে পারছি না। আমি হতাশ, দুঃখিত। অবশ্য এখন কিছুদিন বিশ্রাম পাব। মাঠে ফিরতে ছয় থেকে আট সপ্তাহ সময় লাগতে পারে আমার।’
ওয়ার্নার অনিশ্চিত। আরো কয়েকজন তারকাকেও বাংলাদেশে পাচ্ছে না অস্ট্রেলিয়া। গত রোববার টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসন। পেসার রায়ান হ্যারিস তো হাঁটুর চোটের কাছে হার মেনে অ্যাশেজের ঠিক আগে ক্রিকেটকেই বিদায় জানিয়েছেন। অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট খেলে পারিবারিক কারণে দেশে ফিরে গিয়েছিলেন ব্র্যাড হ্যাডিন। বাংলাদেশ সফরে এই অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক থাকবেন কি না, তা নিয়েও যথেষ্ট সংশয়। ওদিকে দুই পেসার মিচেল জনসন আর জশ হেজেলউড এ সিরিজে বিশ্রাম পেতে পারেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
স্মিথের কপালে তাই দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়তেই পারে!