মাশরাফির টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার স্বপ্ন
প্রায় ১৪ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে মাত্র ৩৬টি টেস্ট খেলেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তাঁর সর্বশেষ টেস্ট ২০০৯ সালের জুলাইয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। সেন্ট ভিনসেন্ট টেস্টে বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকও হয়েছিল তাঁর। কিন্তু দুর্ভাগ্য, চোটের কারণে সেই ম্যাচে মাত্র ৬ ওভার ৩ বল করতে পেরেছিলেন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’। এর পর আর টেস্ট খেলার সুযোগ হয়নি মাশরাফির। যাঁর দুই হাঁটু সাত-সাতটি অস্ত্রোপচারের ধকল সহ্য করেছে, তার পক্ষে এমন চিন্তা করাও হয়তো বিলাসিতা। তবে এখন সেই স্বপ্ন দেখার সাহস পাচ্ছেন দেশের অন্যতম সেরা পেসার।
আগামী শনিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া জাতীয় ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ডে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাশরাফি। শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে চার দিনের ম্যাচটিতে খুলনার প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি। এই ম্যাচে স্বাগতিক খুলনার প্রতিপক্ষ রংপুর।
মাশরাফির হাঁটুর অবস্থা এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো। গত এক বছরে বাংলাদেশকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দৃঢ়তার সঙ্গে। তাঁর অধিনায়কত্বে ওয়ানডেতে অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে মাশরাফির আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে। আর এই আত্মবিশ্বাসই বাংলাদেশের বহু সাফল্যের নায়ককে টেস্ট খেলার স্বপ্ন দেখাচ্ছে, ‘এখন আমার ফিটনেস খুবই ভালো অবস্থায় আছে। তাই আমি খেলা চালিয়ে যাওয়ার সাহস পাচ্ছি। এমনকি টেস্ট ক্রিকেটে খেলার চিন্তাভাবনাও করছি। আপাতত জাতীয় ক্রিকেট লিগে খেলে ফিটনেস কী অবস্থায় আছে, তা দেখতে হবে।’
অনেক দিন পর দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলার ঘোষণা দিয়ে মাশরাফির মন্তব্য, ‘১০ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া জাতীয় ক্রিকেট লিগের পরবর্তী রাউন্ডে খুলনার হয়ে রংপুরের বিপক্ষে খেলব। এই প্রতিযোগিতায় আরো একটি ম্যাচ খেলব আমি। তবে টানা দুই ম্যাচ নয়। অন্য ম্যাচটা পরে খেলব।’
২০১৪ সালের জানুয়ারিতে সর্বশেষ বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে খেলেছিলেন মাশরাফি। দীর্ঘ ছয় বছর টেস্ট ক্রিকেট থেকে দূরে থাকলেও ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি খেলছেন নিয়মিত। গত আঠারো মাস সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের নিয়মিত সদস্য তিনি।