পিচ নিয়ে সমালোচনায় কোহলি ক্ষুব্ধ
পাঁচ দিনের টেস্ট তিন দিনেই শেষ। তৃতীয় দিন উইকেট পড়েছে ১৮টি। ২১৮ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ১০৯ রানে অলআউট। ম্যাচে প্রোটিয়াদের ২০ উইকেটের ১৯টিই স্পিনারদের ‘শিকার’! মোহালি টেস্টে ব্যাটসম্যানদের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরতে এই তথ্যগুলোই বোধহয় যথেষ্ট। যথারীতি পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামের ঘূর্ণি পিচ নিয়ে সমালোচনার ঢেউ উঠেছে। বিরাট কোহলি অবশ্য এই সমালোচনায় ভীষণ বিরক্ত, ক্ষুব্ধ। ভারতের টেস্ট অধিনায়কের মতে মোহালির পিচ নিয়ে অহেতুক কথাবার্তা হচ্ছে।
শনিবার অল্প রানের পুঁজি নিয়েও স্পিনারদের নৈপুণ্যে চার টেস্ট সিরিজের প্রথমটি সহজেই ১০৮ রানে জিতে ‘টিম ইন্ডিয়া’র এখন খুশিতে ভেসে বেড়ানোর কথা। কিন্তু এমন আনন্দঘন মুহূর্তে পিচ নিয়ে সমালোচনা ওঠায় কোহলি ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেননি, ‘উইকেট নিয়ে অযথা পানি ঘোলা করার দরকার নেই। কালই তো অশ্বিন বলছিল যে আমরা বিদেশে খেলতে গেলে কখনোই উইকেট নিয়ে কথাবার্তা হয় না। তাই এখানেও (ভারতে) তা হওয়া উচিত নয়।’
অনেকেই বলছেন মোহালির পিচ একেবারে খেলার অযোগ্য হয়ে পড়েছিল। বোলাররা যে পুরো ম্যাচে প্রাধান্য দেখিয়েছেন, তা স্বীকার করছেন কোহলিও। তবে তাঁর মতে খেলা এত তাড়াতাড়ি শেষ হওয়ার জন্য পিচ নয়, ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতাই দায়ী, ‘শুধু শেষ ইনিংসটা নয়, পুরো ম্যাচেই ব্যাটসম্যানরা বেশ কয়েকবার নিজেদের ভুলে আউট হয়েছে। আমার তো মনে হয় না উইকেটের মধ্যে কোনো ভূত লুকিয়েছিল! এই টেস্টে বল কিন্তু কখনোই মারাত্মক টার্ন করেনি। আসলে ব্যাটসম্যানরাই নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারেনি।’
দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক হাশিম আমলাও পিচকে নয়, নিজের দলের ব্যাটসম্যানদেরই দুষছেন, ‘ক্রমাগত অবনতি হতে থাকা উইকেটে ১৫০/১৬০ রান করাই যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। তবে এ কথাও বলতে হবে যে রান তাড়া করতে নেমে আমাদের বেশ কয়েকজন নিজেদের ভুলে আউট হয়েছে।’
৩৬ রান করা স্টিয়ান ভ্যান জিল ছাড়া দ্বিতীয় ইনিংসে আর কোনো প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। দলের এমন দুর্দশার জন্য আমলার দায়ও কম নয়। প্রোটিয়া অধিনায়ক আউট হয়েছেন বোকার মতো। রবীন্দ্র জাদেজার একটি বল টার্ন করবে ভেবে তিনি কোনো শট খেলেননি। কিন্তু বল তাঁকে হতভম্ব করে মিডল স্টাম্প এলোমেলো করে দিয়েছে। নিজের আউট সম্পর্কে আমলার মন্তব্য, ‘আউটটা আমাকে বিস্মিত করেছে। আমার মাথা বোধহয় তখন কাজ করছিল না। এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। চার-পাঁচ উইকেট হারানোর আগেও আমরা ম্যাচে ছিলাম। একমাত্র স্টিয়ানই প্রমাণ করেছে টিকে থাকতে পারলে এই উইকেটে রান করা সম্ভব।’