হ্যাপির ক্ষতিপূরণ দিতে চাই : শাহাদাত
গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপি নির্যাতনের মামলায় গত ৫ অক্টোবর আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেনকে। দীর্ঘ দুই মাসের বেশি সময় পর জামিন পেয়েছেন তিনি। পুরোনো কথাগুলো ভুলে এখন আবার নতুন করে শুরুর কথা বলেছেন শাহাদাত। আবারো তিনি ফিরতে চান ক্রিকেটে। এনটিভি অনলাইনকে তেমনটাই জানালেন জাতীয় দলের এই পেসার।
প্রশ্ন : জীবনের ওপর দিয়ে একটা বড় রকমের ধকল গেছে। এ অবস্থা থেকে কাটিয়ে ওঠার জন্য নতুন করে কী ভাবছেন?
শাহাদাত : হ্যাঁ, এটা সত্য, আমার জীবনের ওপর দিয়ে একটা বড় ধরনের ঝড় গেছে গত কয়েক দিনে। দুই মাস আট দিন জেলে কাটিয়েছি, এটা চাট্টিখানি কথা নয়। এখন আমার ভাবনা, যত দ্রুত সম্ভব ক্রিকেটে ফেরা। ক্রিকেটই তো আমার সব।
প্রশ্ন : কী মনে হচ্ছে, আবার জাতীয় দলে ফিরতে পারবেন?
শাহাদাত : আমার সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে আবার জাতীয় দলে ফেরার। সেই চেষ্টা আমি করেই যাবো। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, একদিন ফিরবই জাতীয় দলে। সেভাবেই পরিশ্রম করে যাবো আমি। এখন বিসিবির তত্ত্বাবধানে পুনর্বাসন কার্যক্রমে আছি।
প্রশ্ন : কখনো কি ভেবেছিলেন এমন পরিস্থিতির শিকার হবেন?
শাহাদাত : না, আসলে কখনই ভাবিনি এমন একটা পরিস্থিতির শিকার হবো। কখনো কখনো মানুষের জীবনে একটা খারাপ সময় আসে। আমার হয়তো তা-ই এসেছে। অবশ্য আমি ভুলে যেতে চাই সেই পুরোনো কথাগুলো।
প্রশ্ন : জেলের সেই দিনগুলো কীভাবে কাটিয়েছেন?
শাহাদাত : সেই দিনগুলো অবশ্যই কষ্টের। পরিবার-পরিজন ছাড়া কাটাতে কার ভালো লাগে। সবচেয়ে খারাপ লাগত আমার ছোট্ট মেয়েটির জন্য।
প্রশ্ন : আপনি একজন তারকা, সাধারণ কয়েদিরা আপনাকে কীভাবে দেখেছেন। তাদের কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়েছেন?
শাহাদাত : সেখানে আমি অনেক ভক্ত পেয়েছি। তাদের কাছ থেকে অনেক ভালোবাসাও পেয়েছি। তারা আমাকে অনেক সাহস জুগিয়েছে। অবশ্য জেলে কয়েদিদের সঙ্গে ক্রিকেটও খেলেছি। কিছুটা কষ্টের মধ্যে এটি আমার জন্য কিছুটা ভালো লাগার।
প্রশ্ন : গৃহকর্মী হ্যাপির দায়িত্ব নিতে ক্ষতিপূরণ দিতে চান নাকি আপনি?
শাহাদাত : হ্যাঁ, আমি তার ক্ষতিপূরণ দিতে প্রস্তুত। মেয়েটার ভবিষ্যৎ আমি গড়ে দিতে চাই। তার পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে, তাদের দাবি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দিতে প্রস্তুত আমি।
প্রশ্ন : চরম দুঃসময়ে বিসিবির কাছ থেকে কেমন সহযোগিতা পেয়েছেন?
শাহাদাত : সত্যি কথা বলেতে কি, বিসিবি আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান, যিনি আমাদের অভিভাবক, তাঁর নেতৃত্বে ক্রিকেট অনেকদূর এগিয়েছে। তিনি আমাকে এবং আমার পরিবারকে অনেক সহযোগিতা করেছেন, যা ভোলার নয়।