বিশ্বকাপে নবম হ্যাটট্রিক ডুমিনির
ক্রিকেটে হ্যাটট্রিক এমনিতেই খুব কম হয়। বিশ্বকাপে তো হ্যাটট্রিক প্রায় ‘বিরল’ ঘটনা। সেই বিরল ঘটনার জন্ম দিয়ে ক্রিকেটের সবচেয়ে আকর্ষণীয় আসরে নবম হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব জেপি ডুমিনির। তবে তাঁর আগে আর কোনো দক্ষিণ আফ্রিকান বিশ্বকাপে এই কীর্তি গড়তে পারেননি। এই অফস্পিনারের ঘূর্ণিতে শ্রীলঙ্কাকে বিধ্বস্ত করে দক্ষিণ আফ্রিকা চলে গেছে সেমিফাইনালে।
বুধবার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে ফাফ ডু প্লেসির ক্যাচে পরিণত করে হ্যাটট্রিকের পথে এগিয়ে যান ডুমিনি। সেটা ছিল ৩৩তম ওভারের শেষ বল। ৩৪তম ওভার ইমরান তাহির করার পর ৩৫তম ওভারের প্রথম দুই বলে নুয়ান কুলাসেকারা ও থারিন্ডু কৌশলকে ‘শিকার’ করে হ্যাটট্রিকের আনন্দে মেতে ওঠেন ডুমিনি।
ব্যাট হাতে বেশ কিছু স্মরণীয় ইনিংসের জন্ম দিলেও অফস্পিনার হিসেবে তেমন নেই খ্যাতি নেই তাঁর। অথচ ‘অনিয়মিত’ স্পিনারের পরিচয়কে পাত্তা না দিয়ে আজ তিনি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে প্রথম হ্যাটট্রিকের মালিক। ডুমিনি তাই উচ্ছ্বসিত, ‘আমি কখনো হ্যাটট্রিকের কাছাকাছিও যেতে পারিনি। তাই এ পারফরম্যান্সে আমি ভীষণ তৃপ্ত। ওদের কম রানে আটকে রাখতে পেরে আরো ভালো লাগছে।’
এটা এই বিশ্বকাপের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। প্রথমটি ছিল ইংল্যান্ডের পেসার স্টিভেন ফিনের, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
১৯৭৫ সালে শুরু হলেও বিশ্বকাপ প্রথম হ্যাটট্রিকের দেখা পায় ১৯৮৭ সালে, ভারতের চেতন শর্মার সৌজন্যে। এরপর ওয়ানডের সেরা টুর্নামেন্টে হ্যাটট্রিক করেছেন পাকিস্তানের সাকলায়েন মুশতাক (১৯৯৯), শ্রীলঙ্কার চামিন্দা ভাস (২০০৩), অস্ট্রেলিয়ার ব্রেট লি (২০০৩), শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা (২০০৭ ও ২০১১) এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেমার রোচ (২০১১)। শুধু দুবার হ্যাটট্রিক করাই নয়, আরেক দিক দিয়েও মালিঙ্গা অনন্য। ২০০৭ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টানা চার বলে উইকেট নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার এই ফাস্ট বোলার। বিশ্বকাপে এই কৃতিত্ব আর কারো নেই।