মাশরাফিদের সাফল্যের প্রত্যাশায় নান্নু-সুমন-দুর্জয়
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, হাবিবুল বাশার সুমন ও নাঈমুর রহমান দুর্জয় বাংলাদেশের ক্রিকেটের অনেক উত্থান-পতনের সাক্ষী। তিনজনই খেলোয়াড়ি-জীবনের শুরু থেকে এখনো পর্যন্ত এ দেশের ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে। এই তিন সাবেক তারকা জাতীয় দলের অধিনায়কও ছিলেন। তখন অবশ্য বাংলাদেশ ছিল বিশ্ব ক্রিকেটের নিচের দিকে থাকা দুর্বল দল। কিন্তু এখন সমীহজাগানো শক্তি। মাশরাফির দলের সাফল্যে আর সবার মতো নান্নু, সুমন আর দুর্জয়ও উচ্ছ্বসিত। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় উচ্ছ্বাসের পাশাপাশি ফাইনাল নিয়ে প্রত্যাশার কথাও জানিয়েছেন তাঁরা।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অন্যতম নির্বাচক নান্নুর বিশ্বাস, শিরোপা জয়ের উজ্জ্বল সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশের, ‘যেহেতু আমরা ফাইনালে গিয়েছি এবং দাপটের সঙ্গে খেলেই গিয়েছি, তাই আমি মনে করি আমাদের অবশ্যই এশিয়া কাপ জেতার ভালো সুযোগ আছে।’
আরেক নির্বাচক সুমনের চোখেও শিরোপা-স্বপ্ন, ‘আর শুধু একটাই ম্যাচ। ভারত খুব ভালো দল। টি-টোয়েন্টিতে ওদের দলটা খুব ভালো। ওদের অনেক ম্যাচ উইনার আছে। কিন্তু ভারত অপরাজেয় নয়। আমরা যে ক্রিকেট খেলছি তা ফাইনালেও খেলতে পারলে জেতার সম্ভাবনা অবশ্যই আছে।’
দুর্জয়ও মাশরাফি-সাকিবদের সাফল্য নিয়ে আশাবাদী। বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক অবশ্য দলের ব্যাটিং নিয়ে একটু চিন্তিত, ‘এ রকম খেলতে পারলে অবশ্যই আমাদের জেতার সম্ভাবনা আছে। তবে আমার মনে হয় আরেকটু রান দরকার। কারণ ভারতের বোলিং ভালো আর ব্যাটিং তো খুবই শক্তিশালী।’
ফাইনালের আগে উঠে এসেছে উইকেটের প্রসঙ্গ। এবারের এশিয়া কাপে সম্ভবত সবচেয়ে অধারাবাহিক আর অননুমেয় মিরপুর স্টেডিয়ামের উইকেট। কখনো ঘাসে ভরা বাউন্সি উইকেটে, কখনো ব্যাটিং সহায়ক ফ্ল্যাট উইকেটে হয়েছে লিগ পর্বের ম্যাচগুলো। সুমনের অবশ্য বিশ্বাস, উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের কোনো সমস্যা হবে না, ‘উইকেট যেমনই হোক, বাংলাদেশের ভালো করার সামর্থ্য আছে। কারণ স্পিন ট্র্যাক হলে আমাদের ভালো স্পিনার আছে। আর উইকেটে ঘাস থাকলে আমাদের যথেষ্ট ভালো পেস বোলার আছে। যে কোনো উইকেটে জেতার সামর্থ্য এখন আমাদের আছে।’
ফাইনালের উইকেট নিয়ে নান্নুরও কোনো উদ্বেগ নেই। তবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ম্যাচসেরা ক্রিকেটারের রায় বাউন্সি উইকেটের দিকে, ‘আমার মনে হয় ঘাসের বাউন্সি উইকেট থাকলেই ভালো। কারণ আমাদের বোলিং আক্রমণ ভালো। ভারতকে হারানোর যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে বলেই মনে করি।’