অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ড্রাগ পরীক্ষায় ব্যর্থ, স্বীকারোক্তি শারাপোভার
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সময় গত জানুয়ারি মাসে ড্রাগ পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন সাবেক নাম্বার ওয়ান রুশ টেনিস তারকা মারিয়া শারাপোভা।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাঁচবার গ্র্যান্ড স্লামজয়ী ও বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া নারী ক্রীড়াতারকা শারাপোভা ১২ মার্চ থেকে প্রাথমিকভাবে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেন। নতুন সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত সব ধরনের টেনিসের কার্যক্রম থেকে তিনি নিষিদ্ধ থাকবেন। আর এ সময়ে শারাপোভার সঙ্গে নাইক তাদের চুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে শারাপোভা জানান, শারীরিক অসুস্থতার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে ২০০৬ সাল থেকে মেলোডোনিয়াম নামে এক ধরনের ড্রাগ নিয়ে আসছিলেন তিনি।
২৮ বছর বয়সী শারাপোভা গত ২৬ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালের পর ড্রাগ পরীক্ষা উতরাতে ব্যর্থ হন বলে আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশন জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শারাপোভাসহ সাত ক্রীড়াবিদের শরীরে মেলোডোনিয়ামের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। মেলোডোনিয়াম মূলত ডায়াবেটিস ও শরীরের ম্যাগনেসিয়াম কমাতে গ্রহণ করা হয়। তবে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে মেলোডোনিয়ামকে নিষিদ্ধ করেছে ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (ডব্লিউএডিএ)।
ড্রাগ পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণের স্বীকারোক্তি দিয়ে শারাপোভা বলেন, ‘আমি অনেক ভুল করে ফেলেছি। আমি আমার ভক্তদের অপমান করেছি। আমি টেনিসকে অপমান করেছি। আর এর সব দায়দায়িত্ব আমার।’
শারাপোভা বলেন, অজান্তেই এত বিশাল ভুল করে ফেলেছেন তিনি। ভক্তদের হৃদয় ভাঙার সঙ্গে টেনিস খেলাকেও কলঙ্কিত করা হয়েছে।
শারাপোভার আইনজীবী জানিয়েছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে ড্রাগ সেবনের কারণে চার বছর এবং না জেনে করলে দুই বছর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার বিধান রয়েছে। তবে তাঁর বিশ্বাস, শারাপোভার ক্ষেত্রে সেটি আরো কম হবে।