তামিমের পর সাকিবও হাজারি ক্লাবে
নতুন রেকর্ড গড়তে তাঁর প্রয়োজন ছিল মাত্র চার রান। শেষ পর্যন্ত সেই অপেক্ষার অবসান হয়েছে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। টি-টোয়েন্টিতে হাজার রানের মালিক হয়েছেন তিনি।
দ্বিতীয় বাংলাদেশি এবং বিশ্বের ২৬তম ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে এক হাজার রানের মালিক হলেন সাকিব। এর আগে প্রথম এই রেকর্ডটি করেছিলেন তাঁরই বন্ধু এবং সতীর্থ তামিম ইকবাল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে দারুণ এক শতক করে নতুন রেকর্ডটি গড়েছিলেন এই বাঁহাতি ওপেনার।
নতুন এই রেকর্ডটি করতে সাকিব খেলেছেন ৫১টি ম্যাচ। অবশ্য হাজার রানের মালিক হওয়ার পর সাকিবের ঝুলিতে জমা পড়েছে আরেকটি রেকর্ড। বিশ্বের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ১০০০ রান ও ৫০টিরও বেশি উইকেট নেওয়া ক্রিকেটার হয়েছেন তিনি।
টি-টোয়েন্টিতে মোট ৫১ ম্যাচ থেকে সাকিব নিয়েছেন ৬১ উইকেট।
টি-টোয়েন্টিতে এর আগে ১০০০ রান ও ৫০ উইকেট নেওয়া প্রথম ক্রিকেটার হলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। এই পাকিস্তানি ক্রিকেটার ৯৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ১৩৬৪ রান করেছেন এবং উইকেট নিয়েছেন ৯৩টি।
অবশ্য সাকিবের ফর্ম খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। এই আসরের বাছাই পর্বে ধর্মশালায় গত তিন ম্যাচের একটিতেও তিনি ব্যাট হাতে খুব সাফল্য পাননি। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে পাঁচ রান করে সাজঘরে ফেরেন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে কোনো রান যোগ করতে পারেননি নিজের ঝুলিতে। আর ওমানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে তিনি করেছিলেন অপরাজিত ১৭ রান।
গত বছরের শেষ দিকে বিপিএল, এ বছরের শুরুতে জিম্বাবুয়ে সিরিজ আর সদ্য-সমাপ্ত পিএসএলে তেমন ভালো খেলতে পারেননি। গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত বিপিএলের তৃতীয় আসরে রংপুর রাইডার্সের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন সাকিব। বাংলাদেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় বল হাতে ভালো করলেও ব্যাটিংয়ে তেমন সুবিধা করতে পারেননি। ১১ ম্যাচে ১৮ উইকেট নেওয়া সাকিবের ব্যাট থেকে এসেছিল মাত্র ১৩৬ রান।
গত জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও দেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট তারকার কাছ থেকে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স পায়নি বাংলাদেশ। চার ম্যাচে সব মিলিয়ে ৫৪ রান করা সাকিব কোনো রকমে পাঁচ উইকেট নিতে পেরেছিলেন। তবে বোলিং গড় (২৭.৬) আর ইকোনমি রেট (৮.৬২) দুটিই ছিল তাঁর মানের বোলারের তুলনায় বেমানান।