ওয়াহাবের প্রশংসায় দুই অধিনায়ক
ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জয়ের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। ২৩ বছর আগের সাফল্যের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে ব্যর্থ পাকিস্তান। কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ছয় উইকেটে হেরে বিদায় নিয়েছে ১৯৯২ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নরা। অ্যাডিলেডে শেষ আটের লড়াইয়ে সহজে জিতলেও পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার ওয়াহাব রিয়াজের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। পাকিস্তান অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হকও ওয়াহাবের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের নৈপুণ্যে পাকিস্তানের ইনিংস গুটিয়ে যায় ২১৩ রানে। অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী ব্যাটিং-সমৃদ্ধ দলের জন্য লক্ষ্যটা মোটেও কঠিন নয়। ম্যাচ শেষে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে মিসবাহ বলেছেন, ‘অবশ্যই আমি হতাশ। অস্ট্রেলিয়াকে অভিনন্দন। জয়টা তাদেরই প্রাপ্য। তারা দারুণ বোলিং করেছে। একসময় আমার মনে হচ্ছিল আমাদের পক্ষে ২৭০/২৮০ রান করাও সম্ভব। কিন্তু আমরা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছি। কিছু ভুল শট নির্বাচনের মাশুলও দিতে হয়েছে আমাদের।’
২১৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া অবশ্য চাপে পড়ে গিয়েছিল। ৫৯ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। এই তিন উইকেটের দুটোই নেন ওয়াহাব। ওয়াহাবের বলে রাহাত আলী শেন ওয়াটসনের সহজ ক্যাচ ফেলে না দিলে অস্ট্রেলিয়া হয়তো এত সহজে জিততে পারত না। ব্যক্তিগত চার রানে ‘জীবন’ পাওয়া ওয়াটসন ৬৪ রানে অপরাজিত থেকে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের অন্যতম নায়ক। ম্যাচ শেষে ওয়াহাবের প্রশংসা করে মিসবাহর মন্তব্য, ‘সে জান-প্রাণ দিয়ে বল করেছে। পুরো বিশ্বকাপেই সে দারুণ বোলিং করেছে। আমি কখনো এমন দুর্দান্ত স্পেল দেখিনি।’
রিয়াজের প্রশংসা করেছেন ক্লার্কও। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক বলেছেন, ‘ওয়াহাব আমাদের চাপে ফেলে দিয়েছিল। অনেক দিন পর এমন দারুণ স্পেল দেখলাম। ওয়াটসনের ক্যাচটা ধরতে পারলে আমরা বিপদে পড়ে যেতাম। সে সত্যিই আমাদের কঠিন পরীক্ষায় ফেলেছিল।’