স্যামিদের সঙ্গে ক্রিকেট বোর্ডের ঝামেলা মেটানোর উদ্যোগ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর শুধু উচ্ছ্বাস নয়, বোর্ডের প্রতি ক্ষোভও প্রকাশ করেছিলেন ড্যারেন স্যামি। রোববারের ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়কের বক্তব্য বিস্মিত করেছিল ক্রিকেটবিশ্বকে। অনেকেই তাঁকে সমর্থন করলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড (ডব্লিউআইসিবি) ব্যাপারটা ভালোভাবে নেয়নি। বোর্ড প্রেসিডেন্ট ডেভ ক্যামেরন এক বিবৃতিতে স্যামির সমালোচনাও করেছেন। তবে দেরিতে হলেও নিজেদের ‘ভুল’ বুঝতে পেরেছে বোর্ড। উদ্যোগ নিয়েছে সমস্যা সমাধানের।
আগামী ৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ বা আইপিএল। বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতাটির ফাইনাল ২৯ মে। আইপিএল শেষ হলেই টি-টোয়েন্টির বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন ক্যামেরন, ‘কীভাবে আমাদের অঞ্চলের সেরা খেলোয়াড়দের ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে নেওয়া যায়, তার একটা সমাধান খুঁজে বের করতে চাই আমরা। লোভনীয় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি লিগগুলোর আর্থিক পুরস্কার সম্পর্কে আমরা পুরোপুরি সজাগ। কিন্তু একই সঙ্গে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের অঞ্চলের মানুষের কাছে ক্রিকেট অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের গুরুত্ব সম্পর্কেও আমরা অবগত। সে কারণেই আমাদের সব খেলোয়াড়ের অংশগ্রহণ ও দলে সুযোগ পাওয়ার ব্যাপারটাকে আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি।’
কয়েক বছর ধরেই বোর্ডের সঙ্গে স্যামি-গেইলদের সম্পর্ক ভালো নয়। আর্থিক লেনদেন নিয়ে ঝামেলাই তার কারণ। বছর দুয়েক আগে বোর্ডের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে ভারত সফরের মাঝপথ থেকে দেশে ফিরে গিয়েছিলেন ক্রিকেটাররা। এমনকি এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে অনেক অনিচ্ছার সঙ্গে চুক্তিতে সই করেছিলেন তাঁরা।
ক্রিস গেইলের মতো ক্যারিবীয়দের বেশ কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড় ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টগুলোর জন্য টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। কারণটা শুধুই আর্থিক। দেশের পক্ষে এক বছর ধরে খেললে যা আয় হয়, ছয় সপ্তাহের একটা টুর্নামেন্ট থেকে অনেক বেশি আয় করতে পারেন তাঁরা।