আশা-নিরাশার দোলাচলে ডি ক্রুইফ
গ্রুপ-সঙ্গী সিরিয়া ও উজবেকিস্তান শক্তিশালী দল। এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বে বাংলাদেশের সামনে তাই কঠিন পরীক্ষা। তবে হাল ছাড়তে রাজি নন লোডভিক ডি ক্রুইফ। বাংলাদেশ দলের কোচ আশাবাদী। অবশ্য প্রত্যাশার পারদ উঁচুতে নিয়ে যাওয়ার পক্ষেও নন।
২০১৬ অলিম্পিকের প্রাক-বাছাই পর্বের এই প্রতিযোগিতা ২৭ থেকে ৩১ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। ‘ই’ গ্রুপে পড়া বাংলাদেশ ২৭ মার্চ প্রথম ম্যাচে সিরিয়ার মুখোমুখি হবে। ২৯ মার্চ উজবেকিস্তান এবং ৩১ মার্চ তৃতীয় ও শেষ ম্যাচের প্রতিপক্ষ ভারত। প্রতিযোগিতার ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম।
সোমবার এ উপলক্ষে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ডি ক্রুইফ বলেন, ‘আমাদের গ্রুপে দুটি শক্তিশালী দল সিরিয়া ও উজবেকিস্তান খেলতে যাচ্ছে। তাদের পারফরম্যান্স খুব ভালো। তাই আমাদের প্রত্যাশা খুব বেশি না থাকাই ভালো।’
শুধু শক্তিশালী প্রতিপক্ষ নয়, চোট-সমস্যা নিয়েও এই ডাচ কোচ দুশ্চিন্তায়, ‘আমরা অল্প কিছুদিন অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছি। সে সময়ের মধ্যেই আমাদের দলটি ধাপে ধাপে উন্নতি করেছে। প্রতিযোগিতায় ভালো কিছু করার আশা করছি। তবে আমাদের দলের কয়েকজন খেলোয়াড় চোট আক্রান্ত। এ নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তায় আছি।’
তবু ভালো কিছুর স্বপ্ন ডি ক্রুইফের চোখে, ‘ফুটবলে অনেক কিছুই হতে পারে। ছেলেরা সামর্থ্যের সেরাটা দিয়ে খেলতে পারলে আমরা ভালো কিছু করতেও পারি।’
দলের প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্ট অধিনায়ক রায়হান হাসান। তিনি বলেন, ‘আমাদের জন্য প্রথম ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুরুটা ভালো করতে চাই। তাহলে পরের দুই ম্যাচের জন্য আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যাবে। প্রস্তুতি অল্প কয়েক দিনের হলেও খেলোয়াড়রা মানসিকভাবে উজ্জীবিত।’
গত মাসে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে খেলা বেশ কয়েকজন আছেন বাংলাদেশ দলে। তাঁদের উপস্থিতি আশাবাদী করে তুলেছে রায়হানকে, ‘আমাদের দলে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে খেলা সাত-আটজন ফুটবলার আছে। এটা আমাদের জন্য একটা ইতিবাচক বিষয়। আশা করি, তারা এ প্রতিযোগিতায় ভালো খেলবে।’