পাকিস্তান ক্রিকেটের ‘মৃত্যু’র আশঙ্কা ওয়াকারের
বেশ কিছুদিন ধরেই পাকিস্তান ক্রিকেটে যেন ‘আলো-আঁধারির খেলা’ চলছে। কখনো কখনো সাফল্য ধরা দিলেও ব্যর্থতার বোঝাই বেশি। বিশ্বকাপও তেমন ভালো কাটল না। অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে মিসবাহর দল। তবে পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা, দীর্ঘদিন তাদের দেশে কোনো দল খেলতে যায় না। এ নিয়ে ভীষণ চিন্তিত পাকিস্তানের কোচ ওয়াকার ইউনিস। তাঁর আশঙ্কা, এভাবে চলতে থাকলে পাকিস্তানে একদিন ক্রিকেটের ‘মৃত্যু’ হবে!
২০০৯ সালের মার্চে লাহোরে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেই পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ‘ব্রাত্য’। এর পর আর কোনো দল পাকিস্তান সফরে যায়নি। পাকিস্তান দলকে ‘হোম’ সিরিজ খেলতে হয়েছে কখনো ইংল্যান্ডে, কখনো বা সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ইদানীং আমিরাতই তাদের ‘হোম গ্রাউন্ড’!
ওয়াকারের ধারণা, ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অনুপস্থিতির কারণে পাকিস্তানে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা কমে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা এএফপিকে সাবেক এই গতিতারকা বলেছেন, ‘আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় আঘাত, আমরা কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করতে পারছি না। আমার আশঙ্কা, এভাবে চলতে থাকলে পাকিস্তানে খেলাটার মৃত্যু হতে পারে। কারণ, আমরা জুনিয়র পর্যায়ে কোনো প্রতিভা খুঁজে পাচ্ছি না। বাচ্চাদের ক্রিকেটে টেনে আনাও কঠিন হয়ে পড়ছে। আমাদের তাই অবশ্যই পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরিয়ে আনতে হবে। সরকারের কাছ থেকেও এ ব্যাপারে সাহায্য প্রয়োজন।’
গত বছর একটা ওয়ানডে সিরিজে খেলার জন্য কেনিয়াকে পাকিস্তানে নিয়ে আসতে পেরেছিল দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। আগামী মে মাসে জিম্বাবুয়েকে নিয়ে আসারও জোর চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।
বিশ্বকাপে দলের বোলিং নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও ব্যাটিং নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় ওয়াকার। এ প্রসঙ্গে পাকিস্তান কোচের মন্তব্য, ‘বোলিং কখনোই আমাদের সমস্যা নয়। বিশ্বকাপে বোলারদের পারফরম্যান্স নিয়ে আমাদের গর্ব করা উচিত। কিন্তু ব্যাটিং নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ভুগতে হচ্ছে। মিসবাহ-উল-হক আর ইউনিস খান অবসর নেওয়ার পর আমাদের একটা বড় শূন্যতার মধ্যে পড়তে হবে।’