সেই প্যারিসে দুঙ্গার ব্রাজিলের ‘প্রতিশোধ’
সতেরো বছর আগের সেই ‘কালরাত্রি’ আজও বোধ হয় ভুলতে পারেননি ব্রাজিল-ভক্তরা। ১৯৯৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার দুঃখ ভোলা সম্ভবও নয় তাদের পক্ষে। তবে অনেক দিন পর হলেও সেই হারের ‘প্রতিশোধ’ ঠিকই নিয়েছে ব্রাজিল। বৃহস্পতিবার রাতে এক প্রীতি ম্যাচে ফ্রান্সকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে দুঙ্গার দল। ম্যাচটা হয়েছে প্যারিসের সেই স্তাদে দি ফ্রান্সে, যেখানে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ-স্বপ্নের সমাধি হয়েছিল।
সেই ফাইনালে ব্রাজিল আর ফ্রান্সের অধিনায়ক ছিলেন দুঙ্গা আর দিদিয়ের দেশম। সেদিন দুঙ্গা যখন দুঃখ আর হতাশায় আক্রান্ত, দেশম তখন সতীর্থদের নিয়ে ফ্রান্সের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে উন্মাতাল। কাকতালীয়ভাবে আজ দুজনের কাঁধে স্বদেশের কোচের দাযিত্ব। এবার ঠিক বিপরীত অভিজ্ঞতা হলো দুঙ্গা-দেশমের।
হেরে গেলেও ম্যাচের প্রথম গোলটা ছিল ফ্রান্সের। ২১ মিনিটে ম্যাথিউ ভালবুয়েনার কর্নার থেকে হেড করে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারান।
৪০ মিনিটে সমতা ফেরায় ব্রাজিল। রবার্তো ফিরমিনোর পাস ধরে বক্সের মধ্যে ঢুকে গড়ানো শটে গোল করেন চেলসির মিডফিল্ডার অস্কার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ফ্রান্সের রক্ষণভাগের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ব্রাজিল। লুইজ গুস্তাভোর শট ফ্রান্সের গোলরক্ষক স্তিভ মানদানদা ঠেকিয়ে দিলেও ৫৭ মিনিটে নেইমারকে কেউ আটকাতে পারেনি। উইলিয়ানের পাস ধরে বাঁ দিক দিয়ে বক্সের ভেতর ঢুকে জোরালো শটে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের এগিয়ে দেন বার্সেলোনা তারকা। ব্রাজিলের হয়ে এটা নেইমারের ৪৩তম গোল। ৬৯তম মিনিটে কর্নার থেকে গুস্তাভোর জোরালো হেড ব্রাজিলের জয় নিশ্চিত করে দেয়।
দ্বিতীয়বারের মতো দায়িত্ব নেওয়া দুঙ্গার অধীনে ব্রাজিলের এটা টানা সপ্তম জয়। ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে গুঁড়িয়ে যাওয়ার যন্ত্রণা পেছনে ফেলে ‘সেলেসাও’রা এখন সত্যিই অন্য দল!